ঝিনাইদহ-৪ আসনে এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফর্ম নিলেন জে. এম. সাকিব হাসান

IMG_20251120_184730

মোঃ আবু সাইদ শওকত আলী ,
       খুলনা বিভাগীয় প্রধানঃ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঝিনাইদহ-৪ আসন (কালীগঞ্জ ও আংশিক ঝিনাইদহ সদর) এখন রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে আলোচিত আসনগুলোর একটি। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর তরুণ নেতা জে. এম. সাকিব হাসান। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে তিনি ঢাকার বিজয়নগরে অবস্থিত এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহ করেন।

দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ তার হাতে মনোনয়ন ফর্ম তুলে দেন। এসময় সাকিব হাসানের সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন। মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
মনোনয়ন ফর্ম নেওয়ার পর জে. এম. সাকিব হাসান সাংবাদিকদের বলেন, “ঝিনাইদহ-৪ আসন উন্নয়ন, ন্যায়বিচার ও সুশাসনের জন্য বহুদিন ধরে অপেক্ষা করছে। আমি এই এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। আমার লক্ষ্য হলো তরুণদের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে একটি আধুনিক, শিক্ষিত ও সমৃদ্ধ অঞ্চল গড়ে তোলা। কর্মসংস্থান, সড়ক উন্নয়ন, কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতি শক্তিশালী করা ও স্বাস্থ্যসেবায় আমূল পরিবর্তন আনাই আমার অঙ্গীকার।”

তিনি আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি—পরিবর্তন আসবে তরুণ নেতৃত্বের হাত ধরেই। এলাকার জনগণ যদি আমাকে তাদের সেবা করার সুযোগ দেন, আমি মাঠে-ময়দানে কাজ করে সেটা প্রমাণ করতে চাই।”

এদিকে তার ফর্ম সংগ্রহকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এনসিপির স্থানীয় নেতারা মনে করছেন, জে. এম. সাকিব হাসান একজন শিক্ষিত, পরিচ্ছন্ন ও উদ্যমী নেতা হিসেবে এলাকায় একটি শক্ত ভোটব্যাংক তৈরি করতে সক্ষম হবেন। বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা উল্লেখযোগ্য বলে দাবি করেন দলীয় নেতারা।
দলীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এনসিপি তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেবে। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে ঝিনাইদহ-৪ আসনের চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাকিব হাসানের সক্রিয়তা ও জনসম্পৃক্ততা তাকে তালিকার প্রথম সারিতে রেখেছে।

এলাকার সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও তার প্রার্থিতা নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা রয়েছে। তারা মনে করেন, নতুন নেতৃত্ব এলে এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে এবং দীর্ঘদিনের অবহেলা কাটিয়ে এলাকার ভাগ্য পরিবর্তনের নতুন দ্বার উন্মোচন হবে।