জাল সনদধারী শিক্ষকের কিসের সম্মান! শিক্ষা ব্যবস্থায় নেমেছে অন্ধকারের ছায়া

IMG-20251104-WA0001

প্রদীপ কুমার রায়, ক্রাইম রিপোর্টার লালমনিরহাটঃ

শিক্ষক — যিনি জাতি গঠনের কারিগর, শিক্ষার্থীর আদর্শ। কিন্তু যদি সেই শিক্ষকই হন প্রতারণার আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তি, তবে শিক্ষা ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ কতটা নিরাপদ—এই প্রশ্ন আজ সর্বত্র। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একের পর এক জাল সনদধারী শিক্ষকের খবর প্রকাশ পাচ্ছে, যা পুরো সমাজকে নাড়া দিয়েছে।
সূত্র জানায়, কিছু অসাধু ব্যক্তি সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেতে জাল সনদ ব্যবহার করছেন। তারা ভুয়া ডিগ্রি, জাল সনদপত্র ও প্রভাব খাটিয়ে চাকরি নিয়েছেন বছরের পর বছর ধরে। অথচ যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন, শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন ভুল দীক্ষা, আর শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা নষ্ট হচ্ছে।
একজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“যে শিক্ষক নিজের যোগ্যতার সনদই জাল করে, সে কীভাবে আমাদের সন্তানদের সত্য, নীতি আর নৈতিকতার শিক্ষা দেবে?”
শিক্ষাবিদদের মতে, এ ধরনের প্রতারণা শুধু অপরাধ নয়, এটি শিক্ষার মর্যাদার প্রতি চরম অবমাননা। তাঁরা বলেন, “শিক্ষা হলো নৈতিকতা ও সততার প্রতীক। সেখানে মিথ্যা সনদধারীর স্থান হতে পারে না।”
স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এমন ঘটনায় প্রমাণ মিললে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলার শিক্ষা অফিস থেকে নথি যাচাই শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
সচেতন মহলের দাবি, শিক্ষা ব্যবস্থার সুনাম ফিরিয়ে আনতে জাল সনদধারী শিক্ষকদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। কারণ, শিক্ষার মন্দিরে প্রতারণা মানে জাতির ভবিষ্যৎকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া।