সন্ত্রাসী হামলার শিকার বিএনপি নেতা মামুন

IMG-20251101-WA0002

মোঃ আবু সাইদ শওকত আলী,
   খুলনা বিভাগীয় প্রধানঃ

সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন আরাফাত রহমান কোকো ক্রিড়া পরিষদের কোটচাঁদপুর উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক মোঃ মামুন মুনসারিন সাহিব। সে উপজেলার বলরামপুর গ্রামের মৃত ইছাহাক আলী বিশ্বাসের ছেলে।
কোটচাদপুর মডেল থানায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে (৩১শে অক্টোবর) শুক্রবার রাতে লিখিত  অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন আহত মামুনের ছেলে ড়মোঃ সিদরাতুল মুনতাহা শুভ।
অভিযোগ সূত্রে  জানা যায়,  ৩১-১০-২০২৫ ইং তারিখ শুক্রবার দুপুর অনুমান ২ঃ৩০ মিনিটের সময় ঝিনাইদহ-৩ আসন (কোটচাঁদপুর-মহেশপুর) জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনয়ন প্রত্যাশিদের নিয়ে উপজেলা ও পৌর বিএনপির মতবিনিময় সভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসামীদের বাড়ির সামনের সড়কে  পৌছানো মাত্র পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক বহরমপুর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলাম ফেলার ছেলে ও বউমা মো, রাজেদুল ইসলাম লাবলু (৪৪)  তার স্ত্রী টিনা (৩০)মো, রনিজুল ইসলাম হাবলু (৩৭) তার স্ত্রী হিরা (২৮) মো, রিয়াজুল ইসলাম বাবলু (৪৭)মো, রমিজুল ইসলাম ডাবলু (৪২) ও মৃত মাহাতাব মন্ডলের ছেলে মো,নাসির উদ্দিন (৪৭) জোটবদ্ধ লোহার রড়, বাশের লাঠিদিয়ে আমার পিতার উপর হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন করেন।তাদের  এলোপাতাড়ি আঘাতে  মারাত্বক জখম মাঠিতে লুঠিয়া পড়লে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে । স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যায়। লোহার রডের আঘাতে  বাম হাত ভেংগে গেছে এবং একটি চোখে মারাত্মক আঘাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বর জখম হয়েছে। বর্তমানে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  চিকিৎসাধীন আছেন।

অভিযোগ করার কারণে  সন্ত্রাসীরা তাদেরকে বিভিন্নভাবে  জখম ও প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছেন। এতে করে  চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি বলে জানান ছেলে শুভ।

মামুন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে শুনে তৎক্ষণিক গতরাতেই কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে দেখতে যান বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির  সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কে এম আমিরুজ্জামান খান শিমুল,উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক সহ স্থানীয় বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ। তারা সেসময় সন্ত্রাসীদের কে দ্রুত  আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।

নির্ভরযোগ্য সত্য জানা যায় মো. রাজেদুল ইসলাম ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যার  সংশ্লিষ্টতায় জুলাই আন্দোলনের সময় তার ঘর বাড়ি ও দোকান পাট ভাঙচুর করে আন্দোলনকারীরা। এখন সে বিএনপি রাজনীতি করেন দাবি করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছেন এলাকায়। 
অভিযুক্ত রাশেদুলের ব্যবহারিতো মুঠোফোনে যোগাযোগ করে না পাওয়াই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয় কোটচাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, আপনি যে ঘটনার কথা বলছেন এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ মৌখিক বা লিখিতভাবে আমাকে অবগত করেনি অবগত করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।