চাকরি ছাড়ায় মিথ্যা মামলা ম্যানেজারের বিরুদ্ধেব্যবসায়ী লালু ও তার ছেলে সৌরভের বিরুদ্ধে নকল মোবাইল বিক্রির অভিযোগ
 
                 মোঃ আবু সাইদ শওকত আলী,খুলনা বিভাগীয় প্রধানঃ
চাকরী ছেড়ে দেওয়ায় আসাফুর রহমান হিমেল নামে এক কর্মচারিকে হত্যার হুমকী ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ সুইট হোটেলের মালিক আবিদুর রহমান লালু ও তার ছেলে সাজেদুর রহমান সৌরভের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সময় আসাফুর রহমান হিমেলের স্ত্রী মরিয়ম আক্তার, মা শাহিন শাহানা হীরা ও শ্যালকের স্ত্রী শুলেখা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আসাফুর রহমান হিমেল দাবী করেন, তিনি লাইভওয়ার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করতেন। লাইভওয়ার হলো পুরাতন ফোন এক্সেঞ্জ কোম্পানী। এই কোম্পানীর সঙ্গে অংশিদারিত্ব চুক্তির মাধ্যমে আবিদুর রহমান লালু ও তার ছেলে সাজেদুর রহমান সৌরভ ঝিনাইদহে দুইটি শাখা খোলেন।
আসাফুর রহমান হিমেল পায়রা চত্বর শাখার ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। দায়িত্ব পলনকালে তিনি জানতে পারেন লাইভওয়ারের সাইনবোর্ড ও ব্র্যান্ডিং ব্যবহার করেন সাজেদুর রহমান সৌরভ ঢাকা থেকে দুই নাম্বার মোবাইল ফোন কিনে আর, টেডার্সের মেমোতে বিক্রি করছেন। এ নিয়ে কাস্টমারদের সঙ্গে হিমেলের প্রায় বাদানুবাদ হতো।
এছাড়া সৌরভ অধিক লাভের আশায় ঢাকা থেকে রিফারবিশ নকল ফোন কিনে এনে অরজিনাল বলে বিক্রি করলেও তার পার্টসগুলো নকল ছিল। এই নকল মোবাইল বিক্রির প্রতিবাদ করে তিনি মালিক পক্ষকে হিমেল জানিয়ে দেন তিনি আর চাকরি করবেন না। সে মোতাবেক ২০২৫ সালের ৭ মার্চ স্টক ও সমস্ত হিসাব নিকাশ বুঝিয়ে দিয়ে আসাফুর রহমান হিমেল চাকরী ছেড়ে দেন।
চাকরী ছাড়ার তিনমাস পরে নকল মোবাইল ফোন বিক্রেতা আবিদুর রহমান লালু ও তার ছেলে সাজেদুর রহমান সৌরভ ২২ লাখ টাকার মিথ্যা আত্মসাতের মামলা করেন এবং শহরব্যাপী পোস্টারিং করে সম্মানহানী করেন। এছাড়া আবিদুর রহমান লালু ও তার ছেলে সাজেদুর রহমান সৌরভ বিভিন্ন সময় তাকে হত্যার হুমকী দিচ্ছেন, যা সমাজিক যোগোযাগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এখন তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে ভীত সন্ত্রস্ত জীবন যাপন করছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন।

 
                         
                       
                       
                       
                      