‘আমার প্রিয় নায়কের বুকে আমি নিজেই ছুরি চালাই’

IMG-20251024-WA0023

 

বিশেষ প্রতিবেদকঃ

ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়কদের মধ্যে এখনো তাকে সহজে আলাদা করা যায়। যার অভিনয় ও স্টাইলে এখনও মুগ্ধ বর্তমান প্রজন্মের দর্শকেরা। ক্যারিয়ারের সময়সীমা মাত্র চার বছর, আর তাতেই হয়েছিলেন খ্যাতিমান। বলছি ঢাকাই সিনেমার ক্ষনজন্মা নক্ষত্র সালমান শাহের কথা। 

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সবাইকে বিস্মিত করে না ফেরার দেশে চলে যান নায়ক সালমান শাহ। মৃত্যুর এত বছর পরও দর্শক হৃদয়ে আজও বেঁচে আছেন ঢালিউডের হার্টথ্রব নায়ক সালমান শাহ। 

সালমান শাহর মৃত্যুর প্রায় ২৯ বছর কেটে গেছে। এতদিন পরও রমেশের চোখ বন্ধ করলে ভেসে ওঠে—ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিস্তব্ধ ঘরে শুয়ে থাকা নায়ক সালমান শাহর মরদেহ। কেউ বিশ্বাসই করতে পারছে না, তাদের প্রিয় নায়ক আর নেই। 

হাসপাতাল মর্গের সেই সময়ের তরুণ ডোম রমেশও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না—তারও প্রিয় নায়ক সালমান শাহ মারা গেছেন। প্রিয় নায়কের লাশটা আবার তাকেই কাটতে হবে ময়নাতদন্তের জন্য। 

২৯ বছর আগে চিত্রনায়ক সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা করতে গত সোমবার (২০ অক্টোবর) আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলাটি তদন্তের জন্য রমনা থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক।

২৯ বছর আগে সালমান শাহের মৃত্যুর পর লাশ আনা হয় ঢামেকের মর্গে। ময়নাতদন্তের সময় ডোম ছিলেন ঢামেক হাসপাতালের সরকারি কর্মচারী রমেশ। পরে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন, নাম হয় সেকেন্দার।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সেই রমেশ প্রকাশ সেকেন্দার দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, শুনেছি প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহ মৃত্যুর বিষয়ে আবারও লেখালেখি হচ্ছে। আমরা তো অত বুঝি না, তবে শুনেছি এবার পরিবার হত্যা মামলার অনুমতি পেয়েছে।

তিনি বলেন, চিত্রনায়ক সালমান শাহর ভক্ত ছিল এদেশের লাখ লাখ মানুষ, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এদের মতো সে সময় আমিও ছিলাম একজন। হঠাৎ শুনতে পেলাম সালমান শাহ মারা গেছেন, লাশ আনা হচ্ছে মর্গে। হয়তো সেদিন বন্ধের দিন ছিল, মানে সরকারি ছুটি শুক্রবার। লাশ নিয়ম অনুযায়ী পুলিশ নিয়ে এলো মর্গে। সে সময় মর্গে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। এদের মধ্যে ছিলেন চলচ্চিত্রের তখনকার নামিদামি নায়ক-নায়িকাসহ শোবিজ জগতের প্রায় সব মানুষজন। মর্গের সামনে হাজার হাজার মানুষ—সবাই অঝোরে কাঁদছে তাদের প্রিয় নায়ক সালমান শাহর জন্য। কেউ যেন তখনকার তুখোড় জনপ্রিয় সালমান শাহর মৃত্যুর বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না।

ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়কদের মধ্যে এখনো তাকে সহজে আলাদা করা যায়। যার অভিনয় ও স্টাইলে এখনও মুগ্ধ বর্তমান প্রজন্মের দর্শকেরা। ক্যারিয়ারের সময়সীমা মাত্র চার বছর, আর তাতেই হয়েছিলেন খ্যাতিমান। বলছি ঢাকাই সিনেমার ক্ষনজন্মা নক্ষত্র সালমান শাহের কথা। 

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সবাইকে বিস্মিত করে না ফেরার দেশে চলে যান নায়ক সালমান শাহ। মৃত্যুর এত বছর পরও দর্শক হৃদয়ে আজও বেঁচে আছেন ঢালিউডের হার্টথ্রব নায়ক সালমান শাহ। 

সালমান শাহর মৃত্যুর প্রায় ২৯ বছর কেটে গেছে। এতদিন পরও রমেশের চোখ বন্ধ করলে ভেসে ওঠে—ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিস্তব্ধ ঘরে শুয়ে থাকা নায়ক সালমান শাহর মরদেহ। কেউ বিশ্বাসই করতে পারছে না, তাদের প্রিয় নায়ক আর নেই। 

হাসপাতাল মর্গের সেই সময়ের তরুণ ডোম রমেশও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না—তারও প্রিয় নায়ক সালমান শাহ মারা গেছেন। প্রিয় নায়কের লাশটা আবার তাকেই কাটতে হবে ময়নাতদন্তের জন্য। 

২৯ বছর আগে চিত্রনায়ক সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা করতে গত সোমবার (২০ অক্টোবর) আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলাটি তদন্তের জন্য রমনা থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক।

২৯ বছর আগে সালমান শাহের মৃত্যুর পর লাশ আনা হয় ঢামেকের মর্গে। ময়নাতদন্তের সময় ডোম ছিলেন ঢামেক হাসপাতালের সরকারি কর্মচারী রমেশ। পরে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন, নাম হয় সেকেন্দার।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সেই রমেশ প্রকাশ সেকেন্দার দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, শুনেছি প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহ মৃত্যুর বিষয়ে আবারও লেখালেখি হচ্ছে। আমরা তো অত বুঝি না, তবে শুনেছি এবার পরিবার হত্যা মামলার অনুমতি পেয়েছে।

তিনি বলেন, চিত্রনায়ক সালমান শাহর ভক্ত ছিল এদেশের লাখ লাখ মানুষ, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এদের মতো সে সময় আমিও ছিলাম একজন। হঠাৎ শুনতে পেলাম সালমান শাহ মারা গেছেন, লাশ আনা হচ্ছে মর্গে। হয়তো সেদিন বন্ধের দিন ছিল, মানে সরকারি ছুটি শুক্রবার। লাশ নিয়ম অনুযায়ী পুলিশ নিয়ে এলো মর্গে। সে সময় মর্গে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। এদের মধ্যে ছিলেন চলচ্চিত্রের তখনকার নামিদামি নায়ক-নায়িকাসহ শোবিজ জগতের প্রায় সব মানুষজন। মর্গের সামনে হাজার হাজার মানুষ—সবাই অঝোরে কাঁদছে তাদের প্রিয় নায়ক সালমান শাহর জন্য। কেউ যেন তখনকার তুখোড় জনপ্রিয় সালমান শাহর মৃত্যুর বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, তখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ এত আধুনিক ছিল না। পুরাতন মর্গে লাশটি নেওয়া হলো। চিকিৎসকের নির্দেশে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করি আমি। আমার প্রিয় নায়কের বুকে আমি নিজেই ছুরি চালাই। ফরেনসিক চিকিৎসকে নির্দেশে ময়নাতদন্তের সময় সবকিছুই করতে হয়।

অবসরে যাওয়া এই ডোম বলেন, ৩৫ বছর চাকরি শেষে বর্তমানে অবসর জীবন কাটাচ্ছি। হাজার হাজার লাশ কেটেছি। কিন্তু সালমানের লাশে হাত দেওয়ার স্মৃতি ভোলার নয়।

লাশকাটা ঘরে ডোমদের প্রধান কাজ হলো ফরেনসিক ডাক্তারদের সহকারী হিসেবে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ প্রস্তুত করা এবং তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সেলাই করা।