মানবাধিকার সুরক্ষা ও বিরোধ নিষ্পত্তি: ন্যায়ভিত্তিক সমাজের পথে বাংলাদেশ — আহসান হাবীব রোমিও’র নেতৃত্বে মানবাধিকার সংগঠনের নতুন দিগন্ত।

বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মন, নিজস্ব প্রতিবেদক:
মানবাধিকার—এটি শুধু একটি শব্দ নয়, এটি মানুষের জন্মগত অধিকার; যা তার স্বাধীনতা, মর্যাদা ও নিরাপত্তার প্রতীক। সমাজে যখন অন্যায়, নির্যাতন, বৈষম্য ও ক্ষমতার অপব্যবহার বেড়ে যায়, তখন মানবাধিকার রক্ষা ও বিরোধ নিষ্পত্তি হয়ে ওঠে সময়ের অপরিহার্য দাবি।
বাংলাদেশে সমাজের বিভিন্ন স্তরে—পরিবার থেকে রাষ্ট্র পর্যন্ত—প্রতিদিন নানা ধরনের বিরোধ, সংঘাত ও অবিচারের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ মানুষ, নারী, শিশু, শ্রমজীবী ও প্রান্তিক জনগণ। তাদের ন্যায়বিচার ও মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন শক্তিশালী মানবাধিকার সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং কার্যকর বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া।
মানবাধিকার সুরক্ষা মানে হলো—প্রত্যেক নাগরিকের জীবন, স্বাধীনতা, মতপ্রকাশ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও নিরাপত্তার অধিকার নিশ্চিত করা। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব হলো নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষা করা।
কিন্তু বাস্তবে অনেক সময় ন্যায়বিচার অধরাই থেকে যায়, যার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থাহীনতা তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মানবাধিকার ও আইনি সহায়তা প্রতিষ্ঠান মানুষকে সচেতন করা, অভিযোগ গ্রহণ, তদন্ত, আইনি পরামর্শ ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে কাজ করছে—যা সমাজে ন্যায়ের আলো ছড়াতে সহায়ক হচ্ছে।
একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে বিরোধ নিষ্পত্তি (Dispute Resolution) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিনই সমাজে দেখা দেয় ছোট-বড় নানা বিবাদ—যেমন পারিবারিক বিরোধ, শ্রমিক-মালিকের দ্বন্দ্ব, জমি-সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ বা সামাজিক সংঘাত।
এসব বিরোধ সময়মতো সমাধান না হলে তা বড় সংঘাতে রূপ নেয়। এজন্যই বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (Alternative Dispute Resolution – ADR) আজ বিশ্বজুড়ে একটি কার্যকর ও মানবিক পদ্ধতি হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় আদালতের বাইরে আলোচনা, সালিশ ও সমঝোতার মাধ্যমে ন্যায়সংগত সমাধান আনা হয়—যা দ্রুত, সাশ্রয়ী ও মানবিক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মানবাধিকার রক্ষা ও বিরোধ নিষ্পত্তির কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য নিচের পদক্ষেপগুলো জরুরি—
1️⃣ অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্ত ব্যবস্থা গঠন: মানুষ যেন ভয় ছাড়াই নিজের অভিযোগ জানাতে পারে, সেই নিশ্চয়তা দিতে হবে।
2️⃣ বিনামূল্যে আইনি সহায়তা কেন্দ্র: অসহায় মানুষের জন্য আইনগত সহায়তা ও পরামর্শ সহজলভ্য করতে হবে।
3️⃣ সচেতনতা ও শিক্ষা কার্যক্রম: স্কুল, কলেজ ও সমাজে মানবাধিকার বিষয়ে শিক্ষামূলক প্রচার চালাতে হবে।
4️⃣ মধ্যস্থতা ও সালিশি পরিষদ গঠন: স্থানীয় পর্যায়ে নিরপেক্ষ সালিশি বোর্ডের মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসা নিশ্চিত করতে হবে।
5️⃣ নারী ও শিশু সুরক্ষা ইউনিট: নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বিশেষ সেল ও তদারকি ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে।
6️⃣ মিডিয়া ও নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ: গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজকে মানবাধিকার রক্ষার অংশীদার হিসেবে যুক্ত করতে হবে।
7️⃣ মানবাধিকার কমিশন ও সংগঠনগুলোর দক্ষতা বৃদ্ধি: বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দক্ষতা বাড়াতে হবে।
মানবাধিকার সুরক্ষা ও বিরোধ নিষ্পত্তি শুধু আইনি প্রক্রিয়া নয়—এটি মানবিক দায়িত্ব, নৈতিক কর্তব্য ও সামাজিক অঙ্গীকারও বটে। প্রত্যেক মানুষ যদি অন্যের অধিকারকে নিজের অধিকার হিসেবে সম্মান করে, তবে সমাজে অন্যায়, নির্যাতন ও বৈষম্য অনেকটাই কমে যাবে।
ন্যায় ও শান্তিনির্ভর সমাজ গঠনে নাগরিক, সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, গণমাধ্যম ও সামাজিক সংগঠন—সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে প্রকৃত মানবাধিকার বাস্তবায়ন করতে।
আহসান হাবীব রোমিও’র নেতৃত্বে নতুন দিগন্তের সূচনা, সংগঠনটির প্রধান নির্বাহী পরিচালক মোঃ আহসান হাবীব রোমিও-এর নেতৃত্বে দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবাধিকার ও ন্যায়ের পথে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে।
তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর সংগঠনটিকে আরও শক্তিশালী, সুসংগঠিত ও সক্রিয় করার লক্ষ্যে সারা দেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।
তার নেতৃত্বে সংগঠনটি শুধু মানবাধিকার রক্ষাতেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং বিরোধ নিষ্পত্তি, আইনি সহায়তা, সামাজিক সচেতনতা, নারী ও শিশু সুরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক মানবিক সহযোগিতা—সবক্ষেত্রেই অগ্রগতি অর্জন করছে।
আহসান হাবীব রোমিও বিশ্বাস করেন, “ন্যায় ও মানবতার ভিত্তিতে গঠিত সমাজই টেকসই উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি।”
একটি জাতির প্রকৃত উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন প্রতিটি নাগরিক ন্যায়, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিয়ে বাঁচতে পারে। তাই এখন সময় এসেছে মানবাধিকার সুরক্ষাকে শুধু কথায় নয়, কাজে রূপান্তরিত করার।
বিরোধ নিষ্পত্তির সংস্কৃতি সমাজে প্রতিষ্ঠা করে আমরা গড়ে তুলতে পারি “ন্যায়ভিত্তিক, শান্তিপূর্ণ ও মানবিক বাংলাদেশ।”
“মানবাধিকার সুরক্ষা ও বিরোধ নিষ্পত্তি: ন্যায়ভিত্তিক সমাজের পথে বাংলাদেশ — আহসান হাবীব রোমিও’র নেতৃত্বে মানবাধিকার আন্দোলনে নতুন দিগন্ত”