কেন্দ্রীয় মন্দির স্থাপনের দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান।

IMG-20251016-WA0041

সাদিয়া জান্নাত কেয়া, জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ ও স্থায়ী মন্দির স্থাপনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে অনুষ্ঠিত ওই কর্মসূচিতে অংশ নেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরাও। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের নিকট মন্দির স্থাপনের অনুমতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার দিয়েছে। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা আসন্ন কালীপূজা আয়োজনের অনুমতি এখনো না পাওয়ায় তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো মন্দির বা উপাসনালয় না থাকা ধর্মীয় বৈচিত্র্যের ঘাটতি নির্দেশ করে। তাই কালীপূজার অনুমতি ও স্থায়ী মন্দির নির্মাণের দাবি জানান তারা।

জবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, “আমি ২০১৯ সাল থেকে দেখে আসছি তারা প্রশাসনকে একটি স্থায়ী মন্দির করে দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় সবার। এখানে একপাশে মসজিদে আজান দিলে অন্যপাশে মন্দিরে ঘন্টা বাজবে। আমরা যেমন আজান দিলে নামাজে যাই। তেমনি অন্য ধর্মাবলম্বীরা তাদের উপাসনালয়ে যাবে। সেই যায়গা থেকে একটা উপাসনালয় থাকা তাদের মৌলিক অধিকার। তাদের দাবি অতিদ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানাচ্ছি।”

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “ধর্ম যার যার, দেশ সবার। বিগত বছরগুলোতে আমরা দেখেছি একটি গোষ্ঠী-কেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা। কিন্তু জবির শিক্ষার্থীরা অতীতে যেমন ঐক্যবদ্ধ ছিল, ভবিষ্যতেও হিন্দু-মুসলিম এক হয়ে ন্যায্য দাবির পক্ষে লড়বে।”

জবি শাখা বাগছাসের আহবায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেন, “আমি মহালয়ার দিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করেছিলাম যেন তারা আমাদের সনাতনী ভাইবোনদের জন্য একটি উপাসনার জন্য যায়গা ঠিক করে দেয়। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত সেটা করতে পারেনি। প্রশাসনকে যতদ্রুত সম্ভব একটি মন্দির স্থাপনের যায়গা বরাদ্দ দেয়ার জন্য আমি আহবান জানাচ্ছি। ক্যাম্পাসে যে যার ধর্ম পালন করবে, কেউ বাধা দিবে না। এটা আমাদের সবার মৌলিক অধিকার।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি গ্রহণ করে বলেন, তোমাদের স্মারকলিপি পেয়েছি। আমরা অতিদ্রুত একটি সভা করে আলোচনা করব এবং সিদ্ধান্ত জানাবো।