শার্শার ওসিকে প্রত্যাহারের দাবিতে এসপিকে যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের স্মারকলিপি

মোঃ আবু সাইদ শওকত আলী,খুলনা বিভাগীয় প্রধানঃ
যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য, দৈনিক লোকসমাজের শার্শা উপজেলা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম মনির মুক্তি ও শার্শা থানা’র ওসি আব্দুল আলিমকে প্রত্যাহারের দাবিতে ৮ অক্টোবর যশোরের পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা ও দৈনিক লোকসমাজের সম্পাদক আনোয়ারুল কবির নান্টু, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি, প্রেসক্লাব যশোরের সহ-সভাপতি শেখ দিনু আহমেদ, দৈনিক গ্রামের কাগজের সহযোগী সম্পাদক ও যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মোর্শেদ আলমসহ যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও যশোর জেলার আট উপজেলার ইউনিট ও বিভিন্ন প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ।
স্মারকলিপি প্রদান কার্যক্রমে একাত্মতা প্রকাশ করে শার্শা উপজেলা, ঝিকরগাছা , বেনাপোল বন্দর, বাগআঁচড়াসহ আরো কয়েকটি প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
সকাল ১১ টায় এসপির কাছে দেয়া এ স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, গত ১১ সেপ্টেম্বর শার্শা থানার ওসি আব্দুল আলিম এক স্কুল ছাত্রের একটি মৌখিক অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য উলাশী গ্রামের বাড়ি থেকে ডেকে আনেন সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনিকে। এরপর মনির কাছে ওই ছাত্রের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চান। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে মনি অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেন। তিনি সত্যটা বলতে চাইলে এসময় ওসি বিশেষ কারো ফোন রিসিভ করে একান্তে কিছুক্ষন কথা বলেন। এরপরই তিনি অতি উৎসাহী হয়ে মামলা রেকর্ডের আগেই হ্যান্ডকাপ পরিয়ে ফেলেন। কোনো তদন্ত ছাড়াই তাকে আটক দেখিয়ে মামলা রেকর্ড করে দ্রুত যশোর আদালতে পাঠান। ওসির এমন অতি উৎসাহী কর্মকান্ডে সাংবাদিক সমাজ সন্দেহ করছে যে, তিনি কোনো ব্যক্তি বা মহলের ফোনে তাদের স্বার্থ রক্ষায় অভিযোগের সত্যতা যাচাই ও কোনো ধরণের আলামত উদ্ধার ছাড়াই মনিকে জেলে পাঠানোর সব ব্যবস্থা করেন। ওসি যা করেছেন তা কোনো ভাবেই আইন সম্মত নয়। এধরণের পুলিশি আচরণ ফ্যাসিবাদী শাসনামলে হলেও এখন বরদাস্ত করবে না সাংবাদিকরা। ৩০ বছরেরও বেশি সময় সাংবাদিকতা করছেন মনিরুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে চারিত্রিক বা অনৈতিকতার একটি অভিযোগও শোনা যায়নি। এর আগে তিনি সাংবাদিকতা করতে গিয়ে অন্তত: দু’বার হত্যা প্রচেষ্টার শিকার হয়েছেন । স্মারক লিপিতে জানানো হয় যশোর, শার্শা ও বেনাপোলের সাংবাদিক সমাজ দৃঢ়ভাবে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ন্যায়ের দাবি জানাচ্ছে। শার্শা থানার বর্তমান ওসি আব্দুল আলিমকে বহাল রেখে মনির জন্য ন্যায় বিচার পাওয়া সম্ভব নয়। একারণে যশোর জেলার সাংবাদিক সমাজ অবিলম্বে শার্শা থানার ওসিকে প্রত্যাহারের দাবি করেন স্মারকলিপিতে। একই দাবিতে যশোর, শার্শা ও বেনাপোলের সাংবাদিকরা কয়েক দফা মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন। আগামিকাল ৯ অক্টোবর বেনাপোল স্থলবন্দর অবরোধের কর্মসূচি রয়েছে হলেও উল্লেখ করা হয় স্মারকলিপিতে । শার্শার ওসিকে প্রত্যাহারের জোরালো দাবি করা হয়।
পুলিশ সুপার রওনক জাহানের হাতে স্মারকলিপি দেয়ার সময় আরো উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও শার্শা উপজেলা সাংবাদিক ঐক্যজোটের সদস্য সচিব আহমমদ আলী শাহিন, বন্দর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক, ঝিকরগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, বাগআঁচড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক নেতা আতাউর রহমান জসি, শরাফত উদ্দিন, ওসমান গনি, কামরুল ইসলামসহ অনেকে। এছাড়া বাঘারপাড়া, অভয়নগর, শার্শা, বেনাপোল, ঝিকরগাছাসহ বিভিন্ন প্রেসক্লাবের আরো নেতৃবৃন্দ ও যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের ওই সকল উপজেলা ইউনিটে নেতৃবৃন্দ এ স্মারক লিপি প্রদান কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। নেতৃবৃন্দ বলেন দ্রুত সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনিকে মুক্তি দিতে হবে এবং শার্শার ওসি আব্দুল আলীমকে দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে। তা নাহলে আরো দূর্বার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়া হয় যশোরের পুলিশ সুপার রওনক জাহানকে।
মোঃ আবু সাইদ শওকত আলী
খুলনা বিভাগীয় প্রধান
মোবাইল ০১৭১৩-৪৫৯৯৯১
০৮/১০/২০২৫ ইং