কোটচাঁদপুরে বাওড়ে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

IMG-20251008-WA0036

মোঃ আবু সাইদ শওকত আলী
খুলনা বিভাগীয় প্রধানঃ


বাওড়ের মৃত ভাসমান মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে নয়ন মন্ডল (১১) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঐ ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ইয়ামিন মন্ডল (১০) ও তুহিন মন্ডল (১০) নামের আরো দুই শিশু। বুধবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে স্থানীয় জয়দিয়া বাওড়ে।

জয়দিয়া বাওড় পাড়ের মিনারুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার বাওড়ে বিষ ছিটাই বাওড়ের মালিক বিজয় হালদার।এরপর থেকে বাওড়ের মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকে। খবর পেয়ে বুধবার সকাল থেকে স্থানীয় হাজার হাজার মানুষ বাওড়ের ওই মরা মাছ ধরতে ছুটে আসেন । তাদের সঙ্গে আসেন লক্ষিকুন্ড মন্ডল পাড়ার তিন শিশু। যাদের মধ্যে ছিল এনামুল মন্ডলের ছেলে নয়ন মন্ডল ( ১১)। সে ৫ম শ্রেনীর ছাত্র ছিলেন। অন্যদিকে জিয়াউর রহমান মন্ডলের ছেলে ইয়ামিন মন্ডল (১০) ও মিন্টু মন্ডলের ছেলে তুহিন মন্ডল( ১০)। ওই দুই শিশু ছিলেন ৩য় শ্রেনীর ছাত্র।

এদের মধ্যে বাওড়ে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যান নয়ন মন্ডল। আর গুরুতর আহত হন ইয়ামিন আর তুহিন। বর্তমানে তারা কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 
ওই গ্রামের আব্দার রহমান বলেন, বাওড়ের কুলেই আমার বাড়ি। আমি মাঠ থেকে এসে নামাজের জন্য অজু করছিলাম। এ সময় বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনতে পাই। এরপর ছুটে গিয়ে পর পর জীবিত অবস্থায় দুইটি বাচ্চাকে  উদ্ধার করে তীরে আনা হয়। এর কিছুক্ষন পর পাওয়া যায় নয়নকে। তবে সে সময় নয়ন আর বেঁচে ছিল না বলে জানিয়েছেন তিনি। 

কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশরাফুল ইসলাম বলেন, বাওড় পানিতে ডুবে গুরুতর আহত দুই শিশুকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। ওই দুই জনকে ভর্তি রাখা হয়েছে। অবস্থা কিছুটা ভাল বলে জানিয়েছেন তিনি। 
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, মৌখিক ভাবে মৃত্যুর খবর শুনেছি। তবে লিখিত কোন অভিযোগ এখনও কেউ করেনি।