কেন্দুয়ায় বাড়ি ও জমি দখলের অভিযোগ।

মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, ময়মনসিংহ বিভাগের বিশেষ রিপোর্টাঃ
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের নোয়াদিয়া গ্রামে জোর করে বাড়ি ও জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে মোহাম্মদ আলী ও রেহানা আক্তারের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় নোয়াদিয়া গ্রামের মোঃ শান্ত মিয়া (৩৮) কেন্দুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন- লস্করপুর মৌজার দাগ নং ১২২৬ (নতুন) ও ১১৫৮ (পুরাতন) দাগে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ৫ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন ধরে বিবাদীগণ ভোগদখল করে আসছেন।
জমির কাগজপত্র সংগ্রহের পর জানা যায়, উক্ত জমিটি শান্ত মিয়ার পূর্বপুরুষদের এবং ওয়ারিশ সূত্রে তারা এর বৈধ মালিক।
অভিযোগে আরও বলা হয়- জমি ছাড়ার জন্য একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিশি বৈঠক হলেও বিবাদীপক্ষ জমি ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায়। বরং বাদী ও তার পরিবারকে নানা সময় হুমকি-ধমকি প্রদান করে। সর্বশেষ গত ১ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে শান্ত মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা জমিতে গেলে বিবাদীগণ তাদের উপর হামলার চেষ্টা করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
বাদী শান্ত মিয়া অভিযোগে আরও জানান- বিবাদীগণ অত্যন্ত প্রভাবশালী ও খারাপ প্রকৃতির লোক। তারা জোরপূর্বক জমি দখল করে রেখেছে, ফলে তিনি ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
৪ অক্টোবর শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়- দখলকৃত জায়গার দলিলমুলে মালিক শান্তু মিয়ার পূর্ব পুরুষগন। শান্তু মিয়ার ভাগ্নি আনেছা আক্তারের কোন বাড়ি না থাকায় শান্তু মিয়ার বাবা এই বাড়িতে থাকতে দিয়েছিলো। থাকার কিছুদিন পর আনেছা ও তার পরিবার এই গ্রামের একটি খুনের মামলার আসামি হওয়ায় বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে চলে যায় অন্যত্রে । আনেছা দূর থেকে তার মামা শান্তর কাছে ২ লক্ষ টাকা বাড়ি বিক্রি করার বাবদ নেয়, এই কথা শুনে রেহানা ও তার পরিবার জোর পূর্বক ঘর দখল করে এখন পাওনা টাকার কথা বলে যার কোন কাগজ বা লিখিত কোন প্রমান নেই।
বিবাদী মোহাম্মদ আলীর ও রেহানা আক্তারের সাথে কথা বললে তারা জানান- আমরা আনেছা আক্তার যিনি (শান্তু মিয়ার ভাগ্নির) কাছে সুদের উপরে ১লক্ষ ৫ হাজার টাকা পাই। টাকা পরিশোধ না করিলে তারা দখলকৃত ঘর ও জায়গা ছাড়বে না।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান- লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।