অবৈধ ড. ইউনূসের পদত্যাগের দাবিতে নিউইয়র্কে হোটেলের সামনে কানাডা আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ।

হাকিকুল ইসলাম খোকন,বাপসনিউজঃ
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নিউইয়র্ক জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) অংশ নিতে তিনি ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে রওনা হয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছান। প্রবাসী আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সম্ভাব্য প্রতিবাদের আশঙ্কায় বাংলাদেশ সরকার অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সেবা (ইউএস ফরেন সার্ভিস) এর কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল। তবে, ইউএস পররাষ্ট্র সেবা (ফরেন সার্ভিস) জানিয়েছে অন্যান্য নেতারা যে সুবিধা পাবেন ড. ইউনূস ও একই সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি ফরেন সার্ভিস ড. ইউনূসের সফরসঙ্গী বিশেষ করে রাজনৈতিক নেতাদের বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেড়োনোর পরামর্শ দিয়েছে।খবর আইবিএননিঊজ।অবৈধ ইউনুস সরকারের পদত্যাগ এর দাবিতে কানাডা থেকে ৮ ঘন্টা গাড়িতে ডাইভ করে কানাডা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ নিউইয়র্কে আসেন ২৪ সেপ্টেম্বর বুধবার এবং বাংগালি অধ্যশিত জ্যাকসন হাইটসে ও ম্যানহাটনের হোটেলের সামনে বুধবার ২৪ সেপ্টেম্বর এবং বৃহস্পতিবার ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বিক্ষোভ ও র্যালি প্রদর্শন করেছেন ।এসময় বিজ্ঞোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কুইবেক শাখা-কানাডার সভাপতি মুন্সী বশীর,সহ সভাপতি ইন্জিনিয়ার এলেন হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মতিন মিয়া ,কানাডা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহিবুর রহমান,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শেলীম যুবেরী,সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী সুইট ।বিজ্ঞোভে অতিথিদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা,১৯৭২-এর বাকসু”র জিএস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড.প্রদিপ রজ্ঞন কর,উপদেষ্টা ও সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন,উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রমেশ চন্দ্য নাথ,দপ্তর সম্পাদক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী,আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মোহাম্মদ বখতির আলী,শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও লেখক এমএ করিম জাহাঙ্গীর,আওয়ামী লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দীন জলিল, শওকত আকবর রিচি,বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরুক হোসাইন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক খুরশিদ আনোয়ার বাবলু,আওয়ামী লীগ নেতা মনজুর চৌধুরী,আওয়ামী লীগ নেতা একে চৌধুরী,নিউ ইংল্যান্ড আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদা আরভি,যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুমানা আক্তার,যুবলীগ লীগ নেতা খন্দকার জাহেদুল ইসলাম,যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ,যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগের সহ সভাপতি শহিদুল ইসলামসহ যুক্তরাষ্ট্ আওয়ামী লীগ এব সকল সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ,মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী,মানবাধিকার এবং প্রবাসী বাঙালিরা অংশগ্রহণ করেন ।উল্লেখ্য,
ড. ইউনূসের সফরে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারম্যান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধিসহ একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল। সফরের মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সংস্কার প্রক্রিয়া এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের রোডম্যাপ বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরা। তবে, নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সম্ভাব্য উত্তেজনা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী সমাবেশের পরিকল্পনা নিরাপত্তার উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করেছিল ।
সাম্প্রতিক ঘটনাবলী, যেমন লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের যানবাহনে ডিম নিক্ষেপ এবং জেনেভায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের উপর হয়রানির ঘটনা, নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগকে আরও তীব্র করেছে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকার ড. ইউনূসের জন্য নিউইয়র্কে উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য ইউএস ফরেন সার্ভিসের কাছে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায়।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এমডি তৌহিদ হোসেন গত ১৭ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “প্রতিবাদ গণতান্ত্রিক অধিকারের অংশ, তবে আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তিনি ইউএস ফরেন সার্ভিসের সঙ্গে সমন্বয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করলেও, বাস্তবে নিরাপত্তা পরিকল্পনায় ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ইউএস ফরেন সার্ভিসের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য ও সমন্বয়ের অভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
নিউইয়র্কের বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের মধ্যে ড. ইউনূসের সফর নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত তথ্য অনুযায়ী, জ্যাকসন হাইটসে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপগুলোর মধ্যে সমাবেশ করেছে ।