ফেসবুকে মিথ্যা প্রচারণা ও বিভ্রান্তি : ‘সৈরাচারমুক্ত সুবিধাবাদ বিরোধী এক্সপ্রেস’-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা জরুরি।

আহমদ রেজা,চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো চীপঃ
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর এক চক্র সরকারের ও বিএনপির বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়াতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করছে।
বিশেষ করে “সৈরাচারমুক্ত সুবিধাবাদ বিরোধী এক্সপ্রেস” নামে ফেসবুক পেজটি পুরনো ছবি ও বিকৃত বার্তা ব্যবহার করে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
কীভাবে অপপ্রচার চলছে
অতীতের ছবি নতুন ঘটনার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া।
রাজনৈতিক নেতাদের ছবি বিকৃত করে কুরুচিপূর্ণ ক্যাপশন দেওয়া।
ভুয়া মন্তব্য, হ্যাশট্যাগ ও এআই টুল ব্যবহার করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি।
সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক কর্মীদের লক্ষ্যবস্তু করা।
প্রভাব
নির্দোষ ব্যক্তির সামাজিক সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও হানাহানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সাংবাদিক ও পেশাজীবীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
জনমনে ভয়, আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
করণীয়
১. প্রশাসনিক ব্যবস্থা: সাইবার ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ, প্রমাণ সংরক্ষণ, অপারেটর শনাক্তকরণ।
২. সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে: বিভ্রান্তিকর পোস্ট রিপোর্ট করা।
৩. গণমাধ্যম: ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন, অপপ্রচারকারীদের পরিচয় প্রকাশ, সংগঠিত প্রতিবাদ।
৪. জনসচেতনতা: “শেয়ার করার আগে নিশ্চিত হোন” প্রচারণা, স্কুল ও কমিউনিটিতে মিডিয়া লিটারেসি বৃদ্ধি, স্বেচ্ছাসেবী তথ্যযোদ্ধা টিম গঠন।
উপসংহার
মিথ্যা প্রচারণা ও বিভ্রান্তি আইনের চোখে অপরাধ এবং সমাজের জন্য ভয়াবহ হুমকি।
প্রশাসন, গণমাধ্যম ও সমাজ একসাথে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ না নিলে এই ডিজিটাল সন্ত্রাস বাস্তবে সহিংসতার দিকে নিয়ে যাবে।