আনোয়ারা কেইপিজেডে বর্তমান কর্মীরা কাজে নিয়োজিত আছেন চৌত্রিশ হাজার।

আহমদ রেজা, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধানঃ
বর্তমানে আনোয়ারা কেইপিজেডে সরাসরি ৩৪,০০০ কর্মী কাজ করছে, যার মধ্যে অধিকাংশই নারী। এছাড়া পরোক্ষভাবে আরও ২৫,০০০ মানুষ এই শিল্পাঞ্চলের উপর নির্ভরশীল। শ্রমিকদের জন্য আধুনিক ডরমিটরি, মেডিকেল সেন্টার, ডে কেয়ার, ন্যায্যমূল্যের দোকান ও ২ টাকার স্বল্পমূল্যের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।
আনোয়ারা কোরিয়ান ইপিজেড-এর মালিক হলো দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়াংওয়ান গ্রুপ (Youngone Corporation)।
এটি বাংলাদেশের দেশের প্রথম ও একমাত্র বেসরকারি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, যা মূলত ইয়ংওয়ান গ্রুপের উদ্যোগেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
কেইপিজেড চট্টগ্রাম শহরের কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূবে অবস্থিত। এটি ২,৪৯২ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত, যার ৫২% অঞ্চল সবুজায়নের জন্য সংরক্ষিত। ইপিজেডের ভেতরে ৪০ কিলোমিটার রাস্তা, ৬ কিলোমিটার প্রধান সড়ক, এবং ৩৩টি হ্রদ-জলাশয় রয়েছে। শিল্পাঞ্চলে ১৩৭ প্রজাতির পাখি ও ৮৭ প্রজাতির বেশি স্তন্যপায়ী প্রাণী দেখা যায়।
কেইপিজেডে বিশ্বমানের পোশাক, সিনথেটিক ফাইবার, পলিয়েস্টার সুতা, স্পোর্টস জুতা, চামড়ার ব্যাগ, ব্যাকপ্যাক ও ট্রাভেল ব্যাগ উৎপাদিত হয়। এখানকার শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো বছরে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে এবং এই পরিমাণকে ১.২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।