পাটগ্রামে অবৈধভাবে তেল ব্যবসা, মৃত ব্যক্তির নামে লাইসেন্স নবায়নের অভিযোগে চাঞ্চল্য।

আরমান হোসেন রাজু,লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় অবৈধভাবে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া বিভিন্ন স্থানে দোকান দিয়ে পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেল বিক্রি হয়ে আসছে। এ নিয়ে জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকা এবং অনলাইন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশের দৃষ্টিগোচর হয়।
পরে তিনি ধবল সুতি মৌজায় অভিযানে গিয়ে রাফা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি দোকান থেকে এ.ডি. এন্টারপ্রাইজ-এর লাইসেন্স প্রদর্শনের ঘটনা পান, যা অন্য স্থানের জন্য অনুমোদিত। এ সময় রহমান নামের এক ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং দোকানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তবে তদন্তে বেরিয়ে আসে আরও বিস্ময়কর তথ্য। এ.ডি. এন্টারপ্রাইজ-এর মালিক আশুদেব সাহা মারা যান ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে। অথচ তার মৃত্যুর দুই মাস পর থেকেই তার নামে লাইসেন্স নবায়নের আবেদন করা হয় এবং তা অনুমোদিতও হয়। মৃত ব্যক্তির নামে কিভাবে আবেদন ও নবায়ন হলো—এ নিয়ে প্রশাসনসহ এলাকাবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে আশুদেব সাহার পরিবার নতুন করে লাইসেন্স পেতে রংপুর বিস্ফোরক পরিদর্শক কার্যালয় ও লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, আশুদেব সাহার পরিবারের সঙ্গে রহমান নামের ব্যক্তি দোকান পরিচালনা করতেন এবং তিনি সাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে লাইসেন্স বহাল রেখেছেন। রহমানের আরও দুটি ফিলিং স্টেশন ও একাধিক তেল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার বেশিরভাগই আইনসম্মত কিনা প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।
বিস্ফোরক পরিদর্শক অশোক কুমার বলেন, “পুরাতন লাইসেন্স বাতিল করে নতুন করে আবেদন করতে হবে। মালিকানা পরিবর্তন বা স্থান পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও সম্পূর্ণ নতুন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।”
নীতিমালা অনুযায়ী, সীমান্ত থেকে ৮ কিলোমিটারের ভেতরে নতুন ফিলিং স্টেশন স্থাপন করা যাবে না। অথচ অভিযুক্ত স্থাপনাটি সীমান্ত থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটারের ভেতরে।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীর দাবি, প্রশাসন যেন আশুদেব সাহার পরিবারের মতো অসদুপায় গ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে নৈতিকভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।