২ কোটি ৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ কাণ্ড: বসকো মহাসচিবকে ঘুষ দিয়ে খবর থামানোর চেষ্টা, প্রতিবাদ করলেন ফয়সাল হাওলাদার।

বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মন, নিজস্ব প্রতিবেদক:
মালয়েশিয়ায় প্রবাসী ব্যবসায়ী আজমের প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২ কোটি ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত সোহাগকে নিয়ে দেশে-বিদেশে আলোচনা চলছে। ঘটনাটি প্রকাশের পর সাংবাদিকদের নীরব করার জন্য ঘুষ দেওয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত সোহাগের কোটি টাকার প্রতারণা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য বাংলাদেশ অনলাইন সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ (বসকো) মহাসচিবকে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়। সাংবাদিক সমাজ এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
ফয়সাল হাওলাদারের প্রতিবাদ, বিষয়টি সামনে আনেন বিডিসি ক্রাইম বার্তা–এর সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। তিনি দৃঢ় কণ্ঠে জানান—
“সাংবাদিকতার স্বাধীনতাকে কলুষিত করার জন্য ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আমরা সাংবাদিকরা দুর্নীতি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে লড়াই করি, সত্যকে চেপে রাখার জন্য কোনো ঘুষের কাছে নতি স্বীকার করবো না।”
দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকরা এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে, সাংবাদিকদের ঘুষ দিয়ে সত্য আড়াল করার চেষ্টা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকিস্বরূপ। এ ধরনের ঘটনা শুধু সাংবাদিকদের নয়, বরং সমাজের ন্যায়বিচার প্রক্রিয়াকেও বাধাগ্রস্ত করে।
এদিকে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের কষ্টার্জিত অর্থ আত্মসাৎ এবং পরে সেটি আড়াল করতে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ায় প্রবাসী সমাজও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তাঁরা বলছেন, “যারা দেশের বাইরে শ্রম দিয়ে অর্থ উপার্জন করছে, তাদের ঘামঝরা টাকা এভাবে হাতিয়ে নেওয়া যেমন অপরাধ, তেমনি সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করতে ঘুষের চেষ্টা আরো লজ্জাজনক।”
মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবীরা বলছেন, সোহাগের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। একইসাথে সাংবাদিকদের ওপর চাপ সৃষ্টি বা ঘুষ দেওয়ার মতো কর্মকাণ্ডেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।