৭৫ বছরে সংগ্রামের পথ বেয়ে শিকড় থেকে শিখরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় সুজিত অধিকারী
মো : আমিরুল ইসলাম বাবু, খুলনা ব্যুরো প্রধান
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারি বলেছেন, সু-দীর্ঘ ৭৫ বছরে সংগ্রামের পথ বেয়ে শিকড় থেকে শিখরে অবস্থান করছে এশিয়া মহাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিকদল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বিশ্ব রাজনীতিতে নিজস্ব ভাষা ও জাতি সৃষ্টির পিছনে যে কয়টি রাজনৈতিক দলের ইতিহাস রয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার মধ্যে অন্যতম। আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশের ইতিহাস, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ এক ও অভিন্ন। ১৮৮৫ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ১৯০৬ সালে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা পেলেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই একমাত্র রাজনৈতিক দল, যা একটি দেশের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা এবং বাঙালি জাতি সৃষ্টির পিছনে রয়েছে আওয়ামী লীগের অবর্ণনীয় অবদান। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। পাকিস্তানের ২৩ বছর আর বাংলাদেশ সৃষ্টির পর ৫২ বছরসহ মোট ৭৫ বছর ধরেই এ দেশে আওয়ামী লীগ গণমানুষের রাজনৈতিক দল হিসেবে সুপরিচিত। বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক আওয়ামী লীগ ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে জন্ম নিয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৭৫ বছর আগে। দলটি ২০০১ সালে সফলতার সাথে সুবর্ণ জয়ন্তী (৫০ বছর) পালন করেছে। ২০১১ সালে হিরক জয়ন্তী (৬০ বছর) পালন শেষে এখন ২০২৪ সালে রজত জয়ন্তী (৭৫ বছর) পালন করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর সুযোগ্যকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যাদুকরী নেতৃত্বে দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চিরযৌবনা। মাঝখানে বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিগুলো অল্প সময়ের জন্য মাথাচাড়া দিয়ে উঠলেও সৃষ্টি শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ বাঙালি জনগণের অধিকার আদায়ে সমান গতিশীলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিহাস সাক্ষী, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামো ভেঙে পড়ে। পাকিস্তানের পরাজিত শক্তি দেশের শাসন ক্ষমতা দখল করে নেয়। ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে স্বদেশে ফিরে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নিলে বাংলাদেশের জনগণ আশায় বুক বেঁধে স্বপ্ন দেখা শুরু করে।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দেশের নানা অনিয়ম ও অরাজকতাসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আত্মনিয়োগ করেন। জনগণের ভোটের অধিকার, গণতন্ত্র পুনঃদ্ধার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি, পার্বত্য শান্তিচুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ফের ক্ষমতায় এসে ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা ঘোষণা করেন। তৃণমূল পর্যায়ের জনগণের কাছে তথ্য প্রযুক্তির সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করতে থাকেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় নিয়ে আসলে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদায় উন্নীত করার মাধ্যমে বিশ্বে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির একটি মডেল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করতে সক্ষম হন।
একটি পরিসংখ্যান টানলে বোঝা যায় দেশের কী আমূল পরিবর্তন এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। বিএনপি সরকারের সর্বশেষ বাজেট ঘোষণা হয় ৬৯ হাজার কোটি টাকার। আর বর্তমান সরকারের সর্বশেষ বাজেট ঘোষণা হয় ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি বোঝার জন্য আদতে আর কোনো উদাহরণ দরকার হয় না, বাজেটের আকারই তার প্রমাণ বহন করে। বাজেট বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয় এবং জনগণের অধিকার সত্যিকার অর্থে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। রোববার সকাল ৯টায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্য়ালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আনন্দ র্যালী পূর্বক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এ্যাড. কাজী বাদশা মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য করেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. সোহরাব আলী সানা, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. এম এম মুজিবর রহমান, সহ-সভাপতি বি এম এ ছালাম, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান জামাল, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এ্যাড. ফরিদ আহমেদ, সাবেক সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবু সালেহ, মহিলা আওয়ামী রীগের সভাপতি হোসনে আরা চম্পা, খুলনা জেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ রায়হান ফরিদ, যুব মহিলা লীগের সভাপতি এ্যাড. সেলিনা আক্তার পিয়া, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ ফিরোজ ইব্রহীম তন্ময়, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. পারভেজ হাওলাদার।
জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব জুবায়ের আহম্মেদ খান জবার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এমএ রিয়াজ কচি, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. নব কুমার চক্রবর্তী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. রকিকুল ইসলাম লাবু, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কাজী শামীম আহসান, শ্রম সম্পাদক মোজাফফর মোল্যা, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েদুজ্জামান সম্রাট, জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, বিলকিস আক্তার ধারা, ফারহানা হালিম, মোসাম্মৎ সামসুন্নাহার, পাপিয়া সরোয়ার শিউলি, শাহিনা আক্তার লিপি, অমিয় অধিকারী, মোঃ জামিল খান, এমদাদুল ইসলাম, নাজনীন নাহার কনা, মোঃ মানিকুজ্জামান অশোক, শেখ মোঃ আবু হানিফ, ইঞ্জিঃ মাহফুজুর রহমান সোহাগ, এম এম আজিজুর রহমান রাসেল, মনোয়ারা খাতুন শিউলি, দেব দুলাল বাড়ই বাপ্পি, সরদার জাকির, অজিত বিশ্বাস, হারুনুর রশিদ, আব্দুল্লাহ আল নোমান, রেজাউল ইসলাম রাজা, এফ এম হাবিবুর রহমান, আবু সালেহ বাবু, রাজিব দাস, মো: হুমায়ুন কবির, শাহিদুল ইসলাম ইমন , ইঞ্জিঃ বরকত, হাজি সাইফুল ইসলাম খান, মোঃ ইমরান হোসেন, মো. তরিকুল ইসলাম সুমন, এ্যাড. শিউলি আক্তার লিপি, এ্যাড. তিতাস, মো. জামাল ফকির, সনজিৎ মন্ডল পিটু, বিভা বিশ্বাস, রোজলীন সরকার, কাজল, অভিজিৎ রায় অভি, মোহাম্মদ রাসেল বাপ্পি, মো. আমিরুল ইসলাম বাবু, আমিনুল ইসলাম শাওন, জান্নাতুল হাওয়া শান্তা, ফরিদ আহমেদ, সজীব হক, শিকদার রনি, এস এম সাদিক মামুন, মাধুরী মন্ডল, ইতিমা মন্ডল, খাদিজা, রিজিয়, বৃষ্টি, মিষ্টিসহ দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা শেষে দলীয় কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেককাটা হয়। তারপর দলীয় কার্যালয় হতে আনন্দ র্যালী বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়। এবং জেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে মাল্যদান করেনে নেতৃবৃন্দ।