‘৩০ হাজার গ্রাহকের নথি গায়েব’, রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সার্ভার থেকে ভবন নির্মাণের অনুমোদনসংক্রান্ত প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের আবেদনের নথিপত্র গায়েবের বিষয়ে রাজউকের চেয়ারম্যানের কাছে ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে রাজউক চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে বলা হয়েছে। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
‘রাজউক থেকে ৩০ হাজার গ্রাহকের নথি গায়েব’ শিরোনামে গত ২৯ ডিসেম্বর প্রথম আলোতে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন।
পরে খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘গ্রাহকের ৩০ হাজার নথি গায়েব হওয়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক। বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয়েছে। কীভাবে গায়েব হলো, এ বিষয়ে রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন আদালত। ৩০ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। ৫ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য পরবর্তী দিন রাখা হয়েছে।’
প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সার্ভার থেকে ভবন নির্মাণের অনুমোদনসংক্রান্ত প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের আবেদনের নথিপত্র গায়েব হয়ে গেছে। ৬ ডিসেম্বর বিষয়টি প্রথম জানতে পারে রাজউক। এটি নিছক কারিগরি ত্রুটি, নাকি এ ঘটনায় কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জড়িত, সে বিষয়ে এখনো অন্ধকারে রাজউক। অন্যদিকে এই বিপর্যয়ের কারণ উদ্ঘাটনে রাজউকের সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, ঘটনার তিন সপ্তাহ পরও সরকারি এই সংস্থা কোনো তদন্ত কমিটিও করেনি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যেসব গ্রাহকের নথিপত্র হারিয়েছে, তাঁরা ২০১৯ সালের মে মাস থেকে চলতি বছরের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভবন নির্মাণের অনুমোদন পেতে আবেদন করেছিলেন। রাজউকেরই কিছু কর্মকর্তা বলছেন, গুরুত্বপূর্ণ এসব নথি হারিয়ে যাওয়ার কারণে ওই গ্রাহকেরা নানা রকম ভোগান্তির শিকার হতে পারেন।