২০ বছর পর মঙ্গলবার খুলনায় যুবলীগের সম্মেলন, উৎসবের আমেজ
প্রায় ২০ বছর পর ২৪ জানুয়ারি খুলনা মহানগর ও জেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার নগরের শিববাড়ী মোড়ে একই মঞ্চে ওই দুই ইউনিটের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে সম্মেলনের প্রায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলন ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন বেশ কয়েকজন নেতা।
দীর্ঘদিন পর খুলনায় যুবলীগের সম্মেলন হওয়ায় বিলবোর্ড, ফেস্টুন, লাইটিং, পোস্টারে ঢেকে গেছে পুরো নগর। সম্মেলনে প্রায় এক লাখ মানুষের সমাগম হবে বলে আশাবাদী দলটির নেতা-কর্মীরা।
যুবলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট, মোল্লাহাট ও চিতলমারী) আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন। প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর দ্বিতীয় পর্বে বেলা তিনটায় ইউনাইটেড ক্লাবে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
জেলা যুবলীগের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, সম্মেলন ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা কাজ করছে। সম্মেলন সফল করতে ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সম্মেলনে জেলা থেকে ৩০০ কাউন্সিলর ও ৬০০ ডেলিগেট উপস্থিত থাকবেন।
মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক সফিকুর রহমান বলেন, সম্মেলনে মহানগরের প্রায় ২ হাজার প্রতিনিধি ও ৩৬০ জন কাউন্সিলর থাকবেন। এর বাইরে প্রায় এক লাখ মানুষের সমাগম হবে। নগরের মধ্যে যেসব প্যানা, ফেস্টুন লাগানো হয়েছে, তা সম্মেলনের পরপরই যুবলীগের উদ্যোগে খুলে নেওয়া হবে।
সর্বশেষ ২০০৩ সালের ৬ মে খুলনা মহানগর ও জেলা যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সম্মেলনে আনিসুর রহমান (পপলু) মহানগরের সভাপতি ও আলী আকবর (টিপু) সাধারণ সম্পাদক হন। অন্যদিকে জেলা যুবলীগের সভাপতি হন মো. কামরুজ্জামান আর সাধারণ সম্পাদক হন মো. আক্তারুজ্জামান।
কামরুজ্জামান বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক পদে আছেন। আর আক্তারুজ্জামান আছেন সদস্য হিসেবে। তিনি এখন খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনের সংসদ সদস্য। জেলা আওয়ামী লীগের আগের কমিটিতে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই সম্মেলনের পর ২০০৮ সালে ও ২০১৯ সালে মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হলেও দীর্ঘ ২০ বছর জেলা যুবলীগের কোনো কমিটি গঠিত হয়নি।
নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কমিটি না হওয়ায় নেতা-কর্মী ও পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে ছিল হতাশা। সর্বশেষ গত বছরের ২২ জানুয়ারি সম্মেলনের দিন ঘোষণা করা হলে নেতা-কর্মীরা নড়েচড়ে বসেন। অনেকেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে জীবনবৃত্তান্ত পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে ওই সম্মেলন স্থগিত করা হয়। আবার নতুন করে সম্মেলন হওয়ার খবরে নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বসিত।
সম্মেলনে জেলা সভাপতি পদে ৬ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১১ জন জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছিলেন। আর মহানগরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন একজন করে।