স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় ওসি মাহবুবুর রহমানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলো ভোলাহাটবাসী।

এসএম রুবেল, রাজশাহী জেলা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট থানার ওসি মাহাবুবুর রহমানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ও মানবেতর জীবনযাপন করছিলো ভোলাহাট উপজেলাবাসী। ওসি মাহাবুব ২০২০ সালে যোগদান করার পরপরই ঘুষের বাণিজ্য নিয়ে গড়ে তুলেছিল সম্রাজ্য। যাকেই ইচ্ছে হত তাকেই পুলিশ পাঠিয়ে ধরে আনতো। এখানেই শেষ নয় মারধর ও আটক রেখে মোটা অংকের টাকার প্রস্তাব দিতো তার পরিবারের লোকজনকে।

ওসির কাছে টাকা না পৌঁছালে দেওয়া হত অস্ত্র, মাদক, সন্ত্রাসী সহ বিভিন্ন মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলা। আর এতে এলাকার সহজ সরল নিরহ মানুষসহ লেখাপড়া করা শিক্ষার্থীরাও পড়েছে তার কবলে। এছাড়াও ওসি মাহাবুবুর রহমান ওই উপজেলার বিভিন্ন মাদক কারবারির কাছে মাসির কর আদায় করতো। এমনকি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ওসি নিজে দাঁড়িয়ে থেকেও পার করিয়েছে মাদক। তার নির্দেশনায় বসতো
জুয়া’র আসর শুধু তাই নয় অটো সিএনজি ইট ভাটা ভাংড়ি দোকান তুলা হতো মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের মাসিক চাঁদা।

তার এসবের কুকর্মের ঘটনাকে ঘিরে গোয়েন্দাকে তথ্য দিতো ভোলাহাট উপজেলার চামুশা গ্রামের ফুটানি বাজার এলাকার মোজাম্মেল হক (টুনু)’র ছেলে মোঃ সাংবাদিক ইয়াকুব আলী (২৬) তার সাথে ঘটেছে থানায় মারধরের ঘটনা উল্লেখ ২০২০ সালে ইয়াকুবের চাচাতো ভাইকে ভোলাহাট থানা পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এ খবর পেয়ে খাবার দিতে যায় ইয়াকুব আলী কিন্তু থানায় কর্মরত এসআই সিরাজ ৩০ হাজার টাকা দাবী করেন। তবে ভুক্তভোগী পরিবার টাকা দিতে রাজি না হলে ইয়াকুব আলীকে থানার মূল ফটকের সামনে এলোপাথাড়ি মারধর করে,এসময় থানা ওসি সহ তাদের নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে এক পথচারি।

এবিষয়ে,বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টারে অভিযোগ জানান ভুক্তভোগী ইয়াকুব আলী। কিন্তু এ অভিযোগে কোন সুরাহা পাননি তিনি বরং অভিযোগের খেসারত হিসাবে ইয়াকুবকে বারবার মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে টোটাল তার বিরুদ্ধে মোট মিথ্যা মামলা করা হয় ১১ টি মামলা দেই ওসি মাহাবুব। তবে মিথ্যা মামলার বিষয়ে টেরপাই চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট আমলি আদালতের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক হুমায়ুন কবির যার প্রত্যেকটি মামলায় বেখুসুল খালাস পায় ভুক্তভোগী ইয়াকুব আলী ও তার পরিবার। প্রতিকার চেয়ে বারবার ইয়াকুব আলি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পুলিশ হেডকোয়ার্টার ডাক বিভাগের মাধ্যমে অভিযোগ জানিও কোন সুরাহা পায়নি বরং আতঙ্কের মধ্যে প্রত্যেকটি দিন পার করছে ইয়াকুব আলী ও তার পুলিশের হাতে নির্যাতিত পরিবার।পর্ব-১

You may have missed