সিরাজ গঞ্জ তাড়াশে প্রচন্ড গরমে মাঠে ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক 

এস,এম,রুহুল তাড়াশী,
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:-

গেল কয়েকদিনে সিরাজগঞ্জ জেলার তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৬ ডিগ্রির গরে। গরমে নাকাল মানুষ, প্রকৃতি ও পশু-পাখি। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছে ধান কাটার শ্রমিকেরা। প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে তাদের ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ করতে হচ্ছে। তাড়াশ উপজেলা অনেক এলাকায় শ্রমিকের অভাবে ধান কর্তনে ব্যাহত হচ্ছে।

সিরাজ গঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুরোদমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ধানের ফলন মোটামুটি ভালো হওয়ায়, দাম ভালো পাওয়া, কৃষকরা কিছুটা খুশি হলেও কর্তন শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে।

কর্তন ও মাড়াইয়ের জন্য তাড়াশ উপজেলা চুক্তিভিত্তিক দৈনিক হারে ৫ থেকে ৬ শত টাকা ছিল। তবে কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরমের কারণে শ্রমিকেরা ভালোভাবে কাজ করতে পারছেন না। এতে শ্রমিকের এখন বেশি টাকা দিতে হচ্ছে । বর্তমানে একজন শ্রমিকের সর্বনিম্ন ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা দিতে হচ্ছে। এতে কৃষকদের অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। অনেক এলাকায় এখনো শ্রমিকের অভাবে ধান কর্তন করা যাচ্ছে না।

কথা হয় তাড়াশ উপজেলা নওগাঁ ইউনিয়নে কালিদাশ নিলী গ্রামের কৃষক হান্নান আলী( হিরা) ও মহসিন রেজা (কান্তা) সঙ্গে। তাঁরা বলেন, “বর্তমানে এই রোদে মাঠে গিয়ে কাজ করাটা অনেকটাই কঠিন। ঘামে গা ভিজে যায়, মাথা গরম হয়ে যায়, সূর্যের তাপ সহ্য করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে গরমের কারণে ধান কর্তন শ্রমিকেরা টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে।” যা ভবিষ্যতে কৃষি আবাদ শ্রমিক সংকটের কারণে কমে যেতে পারে।

অন্য দিকে কৃষক ছাকওয়াত আলী ও কান্টু আকন্দ বলেন, এমনিতেই এবার ধানের দাম কম, তার ওপর শ্রমিক ও পাওয়া যাচ্ছে না। শ্রমিকের অভাবে ধান ৩দিন যাবৎ পাঠে পড়ে আছে যে কোন মুহূর্তে বৃষ্টি হতে পারে যা পাঠে পড়ে থাকা ধান ক্ষতি হতে পারে।

ধান কাটার শ্রমিক খাদেম মূল হুদা ও শাকিল প্রমানিক জানান, এত সরকার এলো গেল কৃষকের উন্নয়ন হলো না। আমরা ধান কাটার শ্রমিক আমাদের ভাত আনতে পান্তা ফুরায়। কি করে বেঁচে থাকবো। এমনিতে  আধুনিক মেশিনে এসেছে অনেকে কাজে আমাদের নেয় না। আবার শরীরে বয়সের ভার। জীবন চলার নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি।