সিরাজদিখানে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরকীয়া, এলাকাবাসীর কাছে আটক বিএনপি নেতা
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে পরকীয়া করতে গিয়ে এলাকাবাসীর কাছে আটক হয়েছেন বিএনপির এক নেতা। গত শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তাজপুর গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রীর ভাড়া বাসা থেকে রশুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমান হাওলাদার কে আটক করে এলাকাবাসী। প্রত্যক্ষদর্শীরদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে রশুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান হাওলাদারের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিলো। গত শুক্রবার সন্ধা সাড়ে ৭ টার দিকে প্রবাসীর স্ত্রীর বাসায় তার বাবা এবং মা গেলে তারা দীর্ঘ সময় ডাকাডাকি করলে বাসা থেকে কেউ সারা না দিলে তারা চিন্তায় পরে যায়।
তখনই উত্তর তাজপুর গ্রামের ননী শেখের মেয়ে নুর- নাহার ও ছেলে ইউনুছ সেখানে গেলে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর বাবার সাথে দেখা হয়। তখন তারা সবাই মিলে গিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে ডাক দিলে নুর- নাহারের কন্ঠ পেয়ে ওই প্রবাসীর স্ত্রী দরজা খুলে এবং নুর নাহরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বলে এতো রাতে কেন এখানে টাকা চাইতে এসেছে। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে অন্ধকার রুমের এক কোনে বিএনপি নেতা আতাউর কে বসা অবস্থায় দেখতে পায়। এমতাবস্থায় প্রবাসীর স্ত্রীর বাবা তার মেয়েকে তার নাতি নাতনির কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন ওদের এক আত্নীয়ের বাসায় রেখে এসেছি।
পরবর্তীতে আতাউর রহমান স্থানীয় ইউ.পি সদস্য শাহীন সরদার ও যুবদলের কয়েকজন নেতাকে ফোন দিয়ে সেখানে যেতে বলেন। পরবর্তীতে ইউ.পি সদস্য শাহীন সরদার ও যুবদলের নেতারা সেখানে গিয়ে আতাউর রহমান হাওলাদার কে উদ্ধার করে সেখান থেকে সটকে পড়েন।এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রশুনিয়া ইউনিয়ন এর ওর্য়াড পর্যায়ে বিএনপির একাধিক সভাপতি /সাধারণ সম্পাদক বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন তিনি গত ৫ তারিখের পর থেকে বেপরোয়া চলাচল শুরু করেছেন এতে বিএনপির মর্যাদা খর্ব হচ্ছে বিএনপি ছোট হচ্ছে জনগণের কাছে আমরা অবশ্যই কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করি। তার কর্মকান্ডে আমরা লজ্জা বোধ করি। এবিষয়ে রশুনিয়া ইউনিয়নের ১ নং ইউ.পি সদস্য শাহীন সরদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আগে কি হয়েছে সেটা তো আর আমি দেখিনি তবে সে ওখানে ছিলো। আমি শুনেছি সে ওই মহিলার বিভিন্ন ঋনের মধ্যস্থতা করে দেয়।
এবিসয়ে রশুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান হাওলাদারের মুঠোফোনে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক কে সাক্ষাৎ এ দেখা করার জন্য বলেন এবং তিনি বলেন মেয়েটি অনেক অসহায় ঋণে জর্জরিত ওর স্বামী বিদেশ থেকে টাকা পাঠালে আমি সেই টাকা বন্টন করি এই জন্যই গিয়ে ছিলাম ওর ফ্লাটে আজকের পর আমি আর এসকল বিষয়ে যাবোনা।