সড়কের বেহাল দশা কষ্টের শেষ নেই লক্ষাধিক মানুষের জন’জীবন অতিষ্ঠ’
সুমন আহমেদ, দোয়ারাবাজার সুনামগঞ্জ বিশেষ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জেলা’র ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ টু বাদে’ঝিগলী বাজার রাস্তা প্রায় ২০ কি. সড়কের বেহাল দশা মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠ।
দেখে বোঝার উপায় নেই এটি কোনো যাতায়াতের রাস্তা। খানা খন্দ আর বড় বড় গর্তে দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশা সড়কটির। প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় সড়ক ব্যবহারকারী হাজার হাজার পথচারী ও যানবাহনের যাত্রী ও চালকদের। এমনকি প্রায়ই ঘটে যানবাহন উল্টে যাওয়ার মতো ঘটনাও।
দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থা দুলা’বাজার হয়ে অদূরে বরাটুকা’বাজার-ও বাদে’ঝিগলী মাদ্রাসা পর্যন্ত ।এক মাত্র এই সরক’টিতে সিলেট যাওয়া আসার রাস্তা এবং বিভিন্ন সেবা নিতে আসা সেবা গ্রহীতাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়, গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে। এছাড়া প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। সংস্কারের অভাবে ডেলিভারি রুগির জন্য বড় অসুবিধা কিছু মেঘ বৃষ্টি দিলে গাড়ি চলাচলের যান’বাহন পানিতে হাঁটু সমান ডুবে থাকে সড়কটি। বৃষ্টিতে সড়কটি আশীর্বাদের বদলে অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায় এখানকার মানুষের কাছে। তবে খুব শীঘ্রই নতুনভাবে সড়কটি মেরামতের আশ্বাস নেই,
সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, শুরুতে সড়কটি পুরানো পাকা সড়ক থাকলেও, পরে সংস্কার করে ইটের সলিং করা হয়। দুর্ভোগ সেখান থেকেই শুরু। অবৈধ ড্রাম ট্রাম ও ভারি যানবাহন চলা চলের কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে ছোটবড় অসংখ্য গর্ত। মটর সাইকেল, ইজিবাইক ও অন্য ছোট বড় যান বাহনগুলো চলছে হেলে দুলে। এলাকাবাসীর দাবি তিন বছর ধরে সড়কের সংস্কার না হওয়ায় এই পথে চলা’চল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।
স্কুল পড়ুয়া একাধিক শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হলে এই একমাত্র সড়কটি ব্যবহার করতে হয়। অতচ এই সড়কটি ব্যবহার করতে গিয়ে ড্রেস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হাটা চলা করা যায় না। পানির নিচে থাকা গর্তে রিকশার চাকা পড়ে রিকশা উল্টে যাচ্ছে। তাই প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে এই সড়কে চলা চল করতে হচ্ছে সবাইকে।
খোকন আহমেদ নামে এক সিএনজি চালক বলেন, সিএনজি নিয়ে যেতে চায় না এই সড়কে। আর গেলেও অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয়। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কে পানি জমে থাকে। এছাড়া মাসের পর মাস রাস্তা ভাংগা থাকার কারণে এবং বৃষ্টি সময় পানিতে ডুবে থাকে সড়কটি। এতে চলা চলে করতে সমস্যা হয় আমাদের।
মনিরুজ্জামান বলেন। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচলের একমাত্র রাস্তা এবং মানুষ যাতায়াতে’র বিকল্প রাস্তা না থাকায় একই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষ ও গাড়ি চলাচল করে। কিন্তু সড়কে খানা খন্দ ও পানি থাকায় চরম দুর্ভোগে পরতে হয় সবাইকে। ভাঙ্গা সড়কের ঝাঁকুনি, বয়েস’ক ও রুগীকে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় অনেক ভোগান্তি’র মাঝে পড়তে হয়,
মরিয়ম আক্তার নামে এক নারী বলেন, সড়কের ঝাঁকুনিতে গর্ভবতী নারী ও হার্টের রোগীদের বেহাল এই সড়কে চলা চল করতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। পানি থাকার কারণে হেটেও চলাচল করা যাচ্ছে না।
দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে জনগণের ভোগান্তি লাগভের দাবি, নাম জানাতে অনিচ্ছুক আরেক জন বলেন শুনছি সড়কটি শীঘ্রই কাজ ধরবে’না। তবে রাস্তা’র বেহাল দশার সড়কটিতে চলাচল করতে অসুবিধা হচ্ছে। আমিও