লালমনিরহাটে মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে জাতী আজ বিভ্রান্ত

মুহাম্মদ রাওফুল বরাত বাঁধন ঢালী রংপুর বিভাগীয় চীপ।

লালমনিরহাট শেখ রাসেল শিশু পার্ক-সংলগ্নে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিমঞ্চে স্থাপিত ম্যুরাল কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়ায় প্রতিবাদ করছে লালমনিরহাট জেলার সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)।
তীব্র নিন্দা জানান তাঁরা,
বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে সনাকের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে গেলে কাপড় দিয়ে ম্যুরাল ঢেকে রাখার বিষয়টি চোখে পড়ে। নেতারা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে ফিরে যান। পরে লালমনিরহাট রেলওয়ে শহীদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন তারা।

এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসেও এ কাজ করে জেলা প্রশাসন। দ্বিতীয়বারের মতো এ ঘটনায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন সংগঠনটির নেতারা।

দীর্ঘ ওই ম্যুরালে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ, মুজিবনগর সরকার গঠন, চরমপত্র পাঠ, উদিত সূর্য, ৭১-এর গণহত্যা, মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানী, বিজয়ে উল্লাসে মুক্তিযোদ্ধারা, পতাকা হাতে হাতে বিজয়ে উচ্ছ্বসিত জনতা, ৭ বীরশ্রেষ্ঠ ও পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে।

সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) লালমনিরহাট শাখার সহসভাপতি ও লালমনিরহাট উন্নয়ন আন্দোলন পরিষদের আহ্বায়ক সুপেন্দ্রনাথ দত্ত বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ ও অবদানে আমরা এ দেশ পেয়েছি। তাদের ইতিহাস ও স্মৃতিচিহ্ন ঢেকে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে- এ অবদান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অস্বীকার করা।

ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুফী মোহাম্মদ বলেন, স্মৃতিস্মারকটি চলমান সময়ের জন্য অনুপযুক্ত হলে ভেঙে দেওয়া হোক। সারা বছর ম্যুরালটি সবার জন্য উন্মুক্ত রেখে বিশেষ বিশেষ দিনে কাপড় দিয়ে ঢেকে সার্কাস না করাই ভালো।

সনাকের জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) আজিজুল ইসলাম (বীরপ্রতীক) জানান, ওই ম্যুরালে বায়ান্ন থেকে ‘৭১ পর্যন্ত ধারাবাহিক ঘটনাবলির সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে। কাপড় দিয়ে তা ঢেকে রাখার ঘটনা আমাকে ব্যথিত করেছে। এটি মেনে নেওয়া যায় না।

জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার জানান, জুলাই বিপ্লবের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় ম্যুরালটি কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এরপর আর কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি। সাংবাদিক রা সাধারণ জনতার সাথে কথা বললে এতে তীব্র নিন্দা জানান তাঁরা তাঁরা আরো বলেন দেশ কি পাকিস্তান হয়ে গেলো নাকি।