রংপুর বিভাগ কুড়িগ্রামে ধরলার তীব্র ভাঙ্গনে এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক

আশ্রয় কেন্দ্র ও ভূমি অফিস সম্পূর্ণরূপে নদী গর্ভে।

মোঃ রাওফুল বরাত বাঁধন ঢালী। রংপুর বিভাগীয় প্রতি নিধি।

কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণ ও উজানী পাহাড়ি ঢলে প্রচন্ড স্রোতে
ধরলা নদীর চলমান তীব্র ভাঙ্গন। সরকারী বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ও অস্থায়ী বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিস সম্পূর্ণরূপে নদীগর্ভে ভক্ষণ হয়েছে।
৩ অক্টোবর ২০২৪ ইং বৃহস্পতিবার বিকাল ৫’২৫,মিনিটে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার ১২ নং বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের আকেল মামুদ খুদিরকুটি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ও অস্থায়ী বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিস বৃহস্পতিবার রাতে সম্পূর্ণরূপে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিক বিলীন হওয়ার ৩ দিন পর ভয়াবহ ভাঙ্গনে খুদির কুটি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ও অস্থায়ী বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিস স্থাপনাটি সম্পূর্ণরূপে বিলীন হলো ভারতের উজানের পানিতে ।এলাকাবাসীর মাঝে ভাঙ্গন আতঙ্ক ঘুম বীহিন ঘেচু বা পেঁচার মতো জীবন বিরাজ করছে তাদের। স্থানীয় , মোঃ দেলদার মিয়া, মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ শাহানুর, নুর আলম , রতন, মিজানুর রহমান , আমিনুল সহ অনেকের ঐ পেরায় কোটি কোটি টাকার ক্ষতি,
কয়েক দিনের ভাঙ্গনে প্রায় ২ শত পরিবারের বসত ভিটা , ৫ একর এর মতো আবাদি জমি , পশু পাখি পুকেরের মাছ আবাদী ফসল, পারিবারিক কবরস্থান ও বিলীন হয়ে গেছে। অনেকে নিরাপদ স্থানে যাচ্ছেন। ভাঙ্গন কবলিত এলাকার ভাই ও বোনেরা পরিবার নিয়ে মানবতার সহিত দিন যাপন করছেন হতাশায় নিমজ্জিত হচ্ছে সর্বক্ষণ।
ভাঙ্গনের স্বীকার পরিবার গুলোর জন্য পূর্ণবাসনের দাবি জানায় এলাকা বাসি সরকার প্রধান বরাবর তারা।
ভাঙ্গনের শিকার সব হারিয়ে আজ অসহায় অনেকে কোথায় থাকবে দুশ্চিন্তায় পড়েছে আঙ্গনে শিকার পরিবার গুলো।
বর্তমান ভাঙ্গনের সম্মুখীন হয়েছে খুদির কুটি আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় সহ শত শত বসত বাড়ি ও আবাদি জমি ।এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার ৩ আগস্ট উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউর রহমান মুঠোফোনে জানান বেগমগঞ্জ স্পটে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় আমি নিজে সব সময় খোঁজ খবর রাখছি এবং আমাদের লোক পাঠাচ্ছি সরকারিভাবে যতটুকু সহযোগিতা করা যায় তা আমি ইনশাল্লাহ করব ও করে যাচ্ছি।এ প্রতিবেদক কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদককে মুঠোফোনে জানিয়েছেন , আমরা বিষয়টি সব সময় খবর নিচ্ছি । ভাঙ্গন রোধে এ পর্যন্ত সাড়ে আট হাজার জিও ব্যাগ ফেলানো কাজ চলমান রয়েছে। সে সাথে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি থাকার চেষ্টায় চলমান সুশীল সমাজের জনগণের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।