যশোরের ক্লুলেস ও চাঞ্চল্যকর এরফান হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন; প্রধান আসামী র‌্যাব-৬ কর্তৃক গ্রেফতার।

১। র‌্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র‌্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

২। ভিকটিম এরফান ফরাজী (২৬) যশোর জেলার সদর থানাধীন খড়কি ধোপাপাড়া এলাকায় মুদিখানা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো। গত ২২ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ বিকাল আনুমানিক ১৬.০০ ঘটিকার সময় অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন দুস্কৃতিকারী চিপস কেনার উদ্দেশ্যে ভিকটিমের দোকানের সামনে আসে। তখন ভিকটিম চিপস দেওয়ার জন্য সামনে এগিয়ে আসলে একজন দৃস্কৃতিকারী ভিকটিমের বুকে ধারালো চাকু ঢুকিয়ে দেয়। ভিকটিমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক ভিকটিমকে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। এ বিষয়ে ভিকটিমের ভাই মোঃ ইমরান ফরাজী বাদী হয়ে যশোর জেলার কোতয়ালী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ঘটনার পর থেকেই র‌্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল আসামীদের সনাক্ত ও গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে।

৩। এরই ধারাবাহকিতায় র‌্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ক্লুলেস ও চাঞ্চল্যকর এরফান হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়। ০১ জানুয়ারী ২০২৩ তারিখ আভিযানিক দলটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত চাঞ্চল্যকর এরফান হত্যার মূলহোতা যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানা এলাকায় আত্নগোপন করে আছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ০২ জানুয়ারী ২০২৩ তারিখ আনুমানিক রাত ০০.৩০ ঘটিকার সময় আভিযানিক দলটি যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন নিউমার্কেট এলাকায় অভিযান পরচিালনা করে হত্যা মামলার আসামী ১। মোঃ তাওহীদ(২০), থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-যশোর’কে গ্রেফতার করে।

৪। গ্রেফতারকৃত আসামীকে যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।