মৎস্য শিল্পে ই-ট্রেসিবিলিটি পাইলট কার্যক্রমের ফলাফলের উপর জাতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত
খুলনা ব্যুরো :
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মোঃ আলমগীর বলেছেন, শুধু মাছ উৎপাদন করলেই হবে না, রপ্তানি আয় বাড়াতে উৎপাদিত মাছের উৎস শনাক্তকরণ (ই-ট্রেসিবিলিটি) নিশ্চিত করতে হবে। এটা মৎস্য রপ্তানি বাড়াতে বিরাট ভূমিকা রাখবে। রোববার (২৩ জুন) ঢাকায় মৎস্য ভবন কনফারেন্স রুমে (২য় তলা) অনুষ্ঠিত ‘মৎস্য শিল্পে ই-ট্রেসিবিলিটি পাইলট কার্যক্রমের ফলাফলের উপর জাতীয় কর্মশালা’য় তিনি এ কথা বলেন।
মৎস্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল এবং ফিস ফার্ম ওনার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ফোয়াব)’র অর্থায়নে ফোয়াব এ কর্মশালার আয়োজন করে। সভাপতিত্ব করেন ফিস ফার্ম ওনার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ফোয়াব)’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোল্লা সামছুর রহমান (শাহীন)।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর আরও বলেন, ‘উৎপাদিত মাছের উৎস শনাক্তকরণ নিশ্চিত করতে পারলে রপ্তানির ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখবে। নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল মৎস্য থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা আয় করা হবে। বিশ্বের ৫২ দেশে মাছ রপ্তানি হয়। আগামী দিনে মৎস্য সেক্টরে বিপ্লব ঘটিয়ে সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে পারি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এই সেক্টর সবার আগে।’
সেমিনারে জানানো হয়, উৎস শনাক্তকরণ নিশ্চিত করা গেলে নিরাপদ খাদ্য পণ্য ক্রেতার হাতে পৌঁছে দেওয়া সহজ হবে। রপ্তানি বাণিজ্যে বহির্বিশ্বের ক্রেতাদের আস্থা অর্জন সম্ভব হবে। এতে মৎস্য খাতে রপ্তানি আয় অনেক বেড়ে যাবে।
ফোয়াবের সভাপতি মোল্লা সামছুর রহমান (শাহীন) বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। মৎস্য সেক্টরে উৎস শনাক্তকরণ নিশ্চিত করতে পারলে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সহজ হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ করতে গেলে মৎস্য সেক্টর অনেক অবদান রাখতে পারে। রপ্তানি বাড়াতে মৎস্য উৎপাদনেও বিশেষ নজর দিতে হবে।’
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ আবদুর রউফ, নিউজ ২৪ টেলিভিশনের নির্বাহী সম্পাদক রাহুল রাহা, আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোঃ মোশাররফ হোসেন চৌধুরী। প্রধান আলোচক ছিলেন ফিস ফার্ম ওনার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ফোয়াব)’র চীফ টেকনিক্যাল এ্যাডভাইজার ড. খন্দকার হাবিবুর রহমান। সঞ্চালনা করেন ফোয়াব’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ মনিরুজ্জামান মনির। উপস্থিত ছিলেন ফিস ফার্ম ওনার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ফোয়াব)’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান রুবেল প্রমুখ। জাতীয় এ কর্মশালায় বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক, এফবিসিসিআই ও মৎস্য অধিপ্তরের কর্মকর্তা, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিক, মৎস্য সেক্টরের স্টেক হোল্ডারগণ, ফোয়াবের বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিসহ ৬০জন অংশ গ্রহণ করেন।