মাদক ব্যাবসাহির হাতে লান্চিত সরকারি চাকরি জীবি পরিবার।

আরমান হোসেন রাজু বিবিসি নিউজ ২৪, লালমনিরহাট জেলা প্রতি নিধি।

চিন্হিত মাদক কারবারিদের হাতে লাঞ্চিত সরকারী চাকরি জীবি পরিবার। থানায় অভিযোব করেনএখন ও অপরাধী চিন্হিত মাদক কারবারি রা ঘুরছে, আমি মোছাঃ শাহানা বেগম (৩৮) স্বামী মোঃ নবিয়ার হোসেন, সাং- বিডিআর গেট, সাহেব পাড়া থানা ও জেলাঃ লালমনিরহাট থানায় হাজির হইয়া অভিযোগ দায়ের করি যে, বিবাদী১। মোঃ সুজন (২৩), ২। মোঃ সোহেল (২৫) উভয় পিতাঃ মোঃ শাহজাহান, ৩। মোঃ শাহাজাহান (৪৮) পিতা অজ্ঞাত, ৪। মোছাঃ শ্যামলী বেগম (৪৫) স্বামী মোঃ শাহাজাহান, ৫। মোঃ- সাজেদা বেগম (৬০) স্বামী: অজ্ঞাত, ৬। মোঃ খাজা বাবু (৩৮) পিতা: মৃত: নুরু ওয়ালডার, ৭। মোছাঃ রিনা বেগম (৩২) স্বামী মোঃ গাজা বাবু, ৮। মোঃ- পারভেজ প্যাম্প বিশিষ্ট মাদকাসক্ত ও মানককারবারী(৪০), ৯। মোঃ সাগর (৩৮) উভয় পিতা: মৃত্য চান্দু মিয়া, ১০। মোঃ রিয়াদ (২২) পিতা। মোঃ পারভেজ প্যাম্প সর্ব সাং- সাহেবপাড়া (বড় মসজিদ সংলগ্ন), থানা ও জেলাঃ লালমনিরহাট গং এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, বখাটে, দাঙ্গাবাজ ছিনতাই কারী,চোরের লিডার, প্রকৃতির লোকজন হইতেছেন বটে তাদের বিরুদ্ধে থানায় একের অধিক মামলা রইয়াছে যা ইন্টারনেটে সার্চ করিলেই চলে আসে । ঘটনার দিন অর্থাৎ ০১/০৬/২০২৫ ইং তারিখ রাত্রী অনুমান ৯.০০ ঘটিকার সময় আমি লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনে কর্মরত থাকা অবস্থায় প্রতিদিনের ন্যায় আমার ছোট ছেলে মোঃ রিফাত (২২) সে আমাকে নেয়ার জন্য লালমনিরহাট রেলওয়ে ষ্টেশনে যাওয়ার পথের মধ্যে ষ্টেশনের উত্তর কেবিনের সামনে কাচা রাস্তার উপরে পৌছা মাত্র দেখিতে পারি যে, ১-৩নং বিবাদীগন উত্তর কেবিনের সামনে অবৈধ মাদক বিক্রি করিতেছে। তখন আমার ছেলে ১-৩নং বিবাদীদের মাদক ব্যবসা করিতে বাধা নিষেধ করে বলে তোমর পাবলিক প্লেজে এভাবে কেন মাদক বিক্রি করছ ১- ও ৩নং বিবাদীগন আমার ছোট ছেলের প্রতিক্ষিপ্ত হইয়া লাঠিসোটা দ্বারা আমার ছেলের সর্ব শরীরে ডাংমার করিয়া আহত করে। তখন আমার ছেলে নিরুপাই হইয়া তার জীবন রক্ষার্থে ঘটনাস্থল হইতে দৌড়াইয়া বাড়িতে আসে এবং বিষয়টি আমার বড় ছেলে সোহানুর ও স্বামী নবিয়ার হোসেন কে অবগত করিলে তারা উভয়ে আমার ছোট ছেলেকে সঙ্গে লইয়া লালমনিরহাট রেলওয়ে ষ্টেশনের উত্তর কেবিনের সামনে যায় এবং সেখানে যাওয়ার পর তারা উল্লেখিত বিবাদীদের দেখা পাইলে আমার স্বামী ও বড় ছেলে বিবাদীদের আমার ছোট ছেলেকে বিনা কারণে মারধর করার কারণ জিজ্ঞাসা করিলে সকল বিবাদীগন আমার বড় ছেলে ও স্বামীর উপর চড়াও হইয়া তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা সহ মারমুখী আচারণ করিতে থাকে। তখণ আমার স্বামী ও বড় ছেলে উহার প্রতিবাদ করিলে ৪-৫নং বিবাদী তাদের বাড়ি হইতে লোহার রড ও লাঠিসোটা আনিয়া অন্যান্য বিবাদীদের হাতে দেয় এবং ১,২,৩,৬,৭,৮,৯ ও ১০নং বিবাদীগন তাদের লোহার রড ও লাঠিসোটা দ্বারা আমার স্বামী, বড় ছেলে ও ছোট ছেলের সর্ব শরীরে বেদম ভাবে ডাংমার করিয়া হত্যার উদ্দেশ্য করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা, ছেলা জখম করে। ১নং বিবাদী তার হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্য আমার স্বামীর মাথার মাঝ বরাবর আঘাত করিলে আমার স্বামী তার জীবন রক্ষার্থে উক্ত লোহার রডে আঘাত তার ডান হাত দ্বারা ঠেকানোর চেস্টা করিলে উক্ত লোহার রডের ডাং আমার স্বামীর ডান হাতের তালুর উপরে লাগিয়া ফাটা রক্তাক্ত জখম হয়। ২নং বিবাদী আমার বড় ছেলে সোহানুর কে হত্যার উদ্দেশ্য তার দুই হাত দ্বারা গলা চাপিয়া শাসরোধ করার চেস্টা করিলে আমার ছেলে তার জীবন রক্ষার্থে ২নং বিবাদীকে ধাক্কা দিয়া শরাইয়া দিয়া প্রানে রক্ষা পায়। তখন ৬ হইতে ১০নং বিবাদীগন আমার ছেলের বুকে ও মাথায় এলোপাতারী কিলঘুশি মারিয়া আহত করে। একপর্যায়ে ঘটনার শোরগোলে আশেপাশের প্রতিবেশী সহ আরও অনেকে আগাইয়া আসিলে বিবাদীগন আমার ০২ ছেলে ও স্বামীকে মারধর করিতে না পারিয়া ৩নং বিবাসী তার কোমর হইতে ধারালো ছোড়া বাহির করিয়া উপরে উঠাইয়া হুমকি দিয়া বলে যে, আমরা মাদক ব্যবসা করিব তোরা যদি উক্ত বিষয় লইয়া বেশি বারাবারি করিস কিংবা আমাদের কাজে বাধা নিষেধ করিস তাহলে তোদের প্রানে শেষ করিয়া দিব মর্মে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দিয়া দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে আমি লোকমারফত ঘটনার সংবাদ পাইয়া দ্রুত ঘটনাস্থলে আসিয়া আমার স্বামী ও ২সন্তানকে আহত অবস্থায় দেখি এবং তাদের নিকট ঘটনার বিস্তারিত শুনিয়া উপস্থিত লোকজনদের সহায়তায় অপরিচিত অটোযোগে আমার ০২ ছেলে ও স্বামীকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি এবং আমার বড় ছেলেকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি পূর্বক চিকিৎসার ব্যবস্থা করি এবং স্বামী ও ছোট ছেলে রিফাত কে জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। সোহানুর যাহার ভর্তি রেজিঃ নং- ২৫৮৩/২০, বেড নং-এক্স-৯, নবিয়ার যাহার প্রাথমিক চিকিৎসার রেজিঃ নং- ১৯৩৩/০৯, রিফাত যাহার প্রাথমিক চিকিৎসার রেজিঃ নং- ১৯৩৫/১১, তারিখ- ০১/০৬/২০২৫ ইং। উক্ত ঘটনার স্বাক্ষী ১। মোঃ-অনিক, পিতা: মৃত: ইদ্রিস আলী, সাং-বিডিআরগেট, ২। মোঃ- শোভন, পিতা– গোলাম মোস্তফা, ৩। মোঃ- অন্তর, পিতাঃ- হামাদ, উত্তর সাং- বিডিআরহাটখোলা, সকলের থানা ও জেলাঃ লালমনিরহাট গন সহ আরও অনেকে বিষয়টি জানেন ও শোনেন। পরবর্তীতে বিষয়টি পরিবারের লোকজন, নিকটতম আত্মীয়স্বজন, স্বাক্ষীগন সহ স্থানীয় মহৎ ব্যাক্তিদের অবগত করিয়া তাহাদের পরামর্শক্রমে থানায় আসিয়া অত্র অভিযোগ দায়ের করিতে কিছুটা বিলম্ব হইল। অতএব, উপরোক্ত বিষয়টি তদন্ত পূর্বক বিবাদীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য আবেদন করা হয় ।

নিবেদক শাহানা বেগম,
মাদক ব্যাবসাহিদের আইনের আওতায় আনার জন্য অনুরোধ করেন।