মাজার জিয়ারতের মাধ্যেমে নির্বাচনে প্রচারণা শুরু করলেন সিরাজ গঞ্জ -৩ আসনে ত্যাগ সংগ্রাম সততা ও সুনাম জনপ্রিয়তা শীর্ষে –খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর

এস,এম,রুহুল তাড়াশী,
সিরাজ গঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:-
নওগাঁ শাহ শরীফ জিন্দানী (রহ.) মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নামলেন সিরাজ গঞ্জ -৩ (রায়গন্জ,তাড়াশ,সলঙ্গা) আসনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী, ত্যাগ, সংগ্রাম, সততা ও সুনাম জনপ্রিয়তা শীর্ষে তাড়াশ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাবেক উপদেষ্টা, বারবার কারা নির্যাতিত, বিশিষ্ট সমাজ সেবক জিকেএস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান তাড়াশ উপজেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব, মরহুম আলী আকবর খন্দকারের জ্যেষ্ঠ পুত্র
জননেতা, খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর।
(২৫ শে জুন)রোজ বুধবার সকালে নওগাঁ হযরত শাহ শরীফ জিন্দানী (র.) মাজার মসজিদে যোহরের নামাজ আদায় ও মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের শোডাউন, পথ সভা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট চেয়ে গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর । এ উপলক্ষে মাজার চত্বরে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর এ দেশ ফ্যাসিস্ট আ’লীগ সরকার শাসন করেছে। মানুষের ভোটের অধিকার হনন করেছে। জনগণের বাগ স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে কন্ঠ রোধ করেছিল। বাংলার মানুষ তার প্রতিদান তাকে দিয়েছে। মানুষকে খুন করে দেশ থেকে বিতারিত হয়েছে। খুনি হাসিনা আর কখনো বাংলার মাঠিতে আসতে পারবে না।তিনি আরো বলেন, আমি দলের জন্য আ’লীগের জেল জুলুম, অত্যাচার সহ্য করেছি। জীবন বাজি রেখে বিএনপি দলকে তাড়াশে সুসংগঠিত করে রেখেছি। আমি কখনো পালিয়ে রাজনীতি করিনি। তাই আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী কোন প্রার্থী যদি আমার চেয়ে দলের জন্য বেশী কিছু করে থাকে তাকে দলীয় মনোনয়ন দিলে আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু দলে আমার চেয়ে কেউ কম অবদান রাখলে সে ক্ষেত্রে আমার আপত্তি আছে।
খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর আরও বলেন, তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, আমাদের গর্ব উত্তরবঙ্গের কৃতি সন্তান স্হায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ভাই, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম ভাই ও আমিরুল ইসলাম আলীম ভাইয়ের নিকট তাড়াশ বাসীর তথা সিরাজ গঞ্জ -৩ আসনের প্রতিটি জনগনের দাবী গত ৫৩ বছরে তাড়াশ উপজেলায় বিএনপি দলীয় ভাবে কাউকেও নমিনেশন দেননি। এবার আপনাদের নিকট তাড়াশ বাসীর প্রাণের দাবী তাড়াশ থেকে সংসদ সদস্য মনোনয়ন দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে সিরাজগঞ্জ -৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ- সলঙ্গা ) আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে দল আমাকেই মনোনয়ন দিবেন বলে আমার বিশ্বাস রয়েছে।
বৈষমবিরোধী যে আন্দোলন তাড়াশ উপজেলা হয় সে আন্দোলন আমার নেতৃত্বে দুটো পয়েন্টে আন্দোলন হয়েছে।একটি হলো তাড়াশ থানা রোড অপরটি হল খালকুলা বাজারে। খালকুল আন্দোলনে আমার কর্মী শাহীন বাবু আহত হয় মানুষ ভেবেছিল শাহিন বাবু মারা গেছে। আমার আপন ভাতিজা সাব্বির খন্দকার কে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কতৃক কুপিয়ে জখম করে ছিল।আল্লাহর রহমতে সে বেঁচে আছে তাড়াশ উপজেলা বর্তমানে সম্বনয়কের দায়িত্ব পালন করছে। ত্যাগের দিক দিয়ে আমার পরিবার সর্বোচ্চ আওয়ামী লীগ দ্বারা নির্যাতিত। আমার ছোট ভাই সাইফুল খন্দকার এর নামে ১৭ টি মিথ্যা মামলা রয়েছে। তার দলে কোন পদ-পদবী নাই। ১৯৭৮ সাল থেকে আমি বিএনপি করি। আমার রাজনীতি শুরু হয় ছাত্রদলের মাধ্যমে। নাটরে কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলাম, তাড়াশে যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলাম।
আমার বাবা ১০বছর বিএনপি তাড়াশ উপজেলা সভাপতি ছিল।
আমি ১৯ বছর তাড়াশ উপজেলা বিএনপি সভাপতি ছিলাম।
আমার জনপ্রিয়তা ভয় পাওয়ার কারনে তাড়াশ উপজেলা অতীতে বিএনপি পকেট কমিটি হয়েছিল। তাই বলতে চাই ত্যাগ ও সংগ্রামে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে দেশ ও দলের জন্য সবচেয়ে বেশী ত্যাগ স্বীকারকারী প্রাথী
সিরাজ গঞ্জ -৩ আসনে আমি।
আমি যদি বলি (রায়গঞ্জ, তাড়াশ, ও সলঙ্গা) উপজেলার মানুষ কে জিজ্ঞেস করলে একটি মানুষ ও বলতে পারবে না যে, সেলিম জাহাঙ্গীর কে রাজনৈতিক ভাবে কেউ আমাকে ঘুষ দিয়েছে। ৫ আগষ্টের পরে যেটুকু দলের ভিতরে চাঁদাবাজি, পুকুর দখল, হয়েছে আমি করিনি আমার কর্মীরা করে নাই। সততার সাথে কাজ করে আসছি। জিকেএস ফাউন্ডেশন, জিকেএস হসপিটাল, জিকেএস প্রাইমারী স্কুল, জিকেএস গার্লস স্কুল,রঘুনিলী মঙ্গল বাড়িয়া প্রাইমারী স্কুল, রঘুনিলী মঙ্গল বাড়িয়া হাইস্কুল,ভায়াট আলোকদিয়ার উচ্চ বিদ্যালয়,এ সকল প্রতিষ্ঠান আমি নিজেই করেছি। বন্যার সময় ৮৭থেকে শুরু করে ২০০৭সাল পর্যন্ত সিরাজ গঞ্জ জেলা ও তাড়াশ উপজেলা বিদেশ থেকে সাহায্য নিয়ে৷ বন্যার্ধদের মাঝে ব্যাপক এানসামগ্রী বিতরণ করেছি।
জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে আওয়ামী লীগের আমলে আমি তাড়াশ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলাম। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যালট পেপার কাটার পরেও আমি ১৬৫০ ভোটে বিজয়ী ছিলাম। কিন্তু তৎকালীন প্রশাসন, সাবেক মন্ত্রী নাসিম সাহেবের ফোনে রেজাল্ট আমার প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ প্রার্থী কে
বিজয় ঘোষনা করা হয়।
পথ সভায় উপস্থিত ছিলেন,তাড়াশ উপজেলা বিএনপি সাবেক সহ-সভাপতি জয়নুল আবেদীন( মাহবুব), পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক তপন কুমার গোস্বামী, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আবুল হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল খন্দকার, বারুহাস ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান ইকবাল শহীদ, সাইদুর মাস্টার-সাবেক সদস্য তাড়াশ উপজেলা বিএনপি, সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক ফরহাদ আলী, সিরাজগঞ্জ জেলা যুবদলের যুগ্ন-আহ্বায়ক খন্দকার নুরুল ইসলাম, পিএম নজরুল ইসলাম যুগ্ন আহ্বায়ক তাড়াশ উপজেলা যুবদল, তাড়াশ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহ্বায়ক শাহিন বাবু, পৌর যুবদল নেতা এরশাদ আলী, পৌর যুবদল নেতা রিপন তালুকদার পৌর যুবদল নেতা আমিন সহ প্রমুখ।