মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলায় বিএনপি নেতা মিল্টন মুন্সির হাত ধরে আওয়ামী লীগ নেতার বিএনপিতে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন

মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার তালখড়ি ইউনিয়নের সান্দড়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ জসিম উদ্দিন।তিনি আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনীতিবিদ।মানবপাচারের মতো জঘন্য অপরাধে লিপ্ত তিনি।
০৫ আগষ্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর এই জসিম উদ্দিন নিজ গ্রাম ছেড়ে ঢাকাতে পলাতক ছিলেন। তারপর তাকে নিজ গ্রামে ফিরিয়ে আনেন মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আনিচুর রহমান মিল্টন মুন্সি।
তিনি দলীয় তদবীর করে জসিম উদ্দিন এর মানবপাচারের ব্যবসা নিরাপদে পরিচালনা করতে দেবেন বলে নগদ ১৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার চুক্তি করেছেন বলে এলাকায় প্রচারণা চলছে।
এ ছাড়াও জসিম উদ্দিনকে বিএনপিতে যোগদান করিয়ে উপজেলা কমিটিতে পদ প্রদান করবেন বলেও তিনি ওয়াদা করেছেন।
বর্তমানে জসিম উদ্দীন শালিখা উপজেলা বিএনপির অফিসে আনিচুর রহমান মিল্টন মুন্সীর সাথে চলাফেরা করছেন।
বিএনপির রাজনৈতিক
কর্মকাণ্ডেও যোগদান করছেন।
বিএনপি নেতা আনিচুর রহমান মিল্টন মুন্সির একমাত্র ছেলে তামিম মুন্সী ঢাকার অভিজাত এলাকায় একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ১ম বর্ষের ছাত্র।
আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন নাকি তামিম মুন্সীকে ১ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা মূল্যের একটি আইফোন এবং ৭৪ হাজার টাকা মূল্যের একটি ল্যাপটপ গিফট করেছেন।
তামিম মুন্সীর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পড়াশোনা শেষ করতে যতো টাকা পয়সা লাগবে সমস্ত ব্যয়ভার বহন করবেন এই জসিম উদ্দিন এমন চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বলে এলাকায় গুঞ্জন চলছে।
বিনিময়ে শালিখা উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আনিচুর রহমান মিল্টন মুন্সি নাকি তাকে মানবপাচার ব্যবসার নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
জসিম উদ্দিনের মত এই রকম একজন মানবপাচারকারীর জন্য শালিখা উপজেলা আজ মানবপাচারের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন সচেতন সমাজ ।
এলাকাবাসী ও বিএনপির ত্যাগী নেতা কর্মীরা অবিলম্বে আনিচুর রহমান মিল্টন মুন্সিকে বিএনপি হতে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের দাবী তুলেছেন।
একই সাথে অতিদ্রুত মাগুরার দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসনের পদক্ষেপ কামনা করেছেন।