মাগুরায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে পলাতক স্বামী,দীর্ঘ ৫ বছরেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ

মোঃ আবু সাইদ শওকত আলী,
খুলনা বিভাগীয় প্রধান (২)
মাগুরা সদর উপজেলার খদ্দ পাকা গ্রামে হাফেজ মফিজুর রহমান তার স্ত্রী হেনা খাতুনকে কুপিয়ে হত্যা করে বাড়ির পাশের একটি বাগানে ফেলে রেখে যায়। এঘটনার দীর্ঘ ৫ বছর ধরে পলাতক রয়েছে স্বামী মফিজুর রহমান।
মফিজুর রহমান ওই গ্রামের মৃত রমজান বিশ্বাসেে ছেলে ও নিহত হেনা খাতুন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হুদা গোপালপুর গ্রামের কাবিল মুন্সির মেয়ে।
দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও আসামিকে ধরতে তেমন কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি মাগুরা থানা পুলিশের।
পুলিশের এরকম উদাসীন মনোভাব দেখে হতাশ হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
এবিষয়ে মামলার বাদী  নিহত হেনা খাতুনের ভাই ফরিদ আহমেদ বলেন,
আমরা গরিব মানুষ অনেক কষ্ট করে বোনকে বিয়ে দিয়েছিলাম হাফেজ ছেলে দেখে।
বিয়ের পর বোন জামাই আমাদের বাড়িতেই থাকতো। তাদের একটি ছেলে হয় ছেলেটাকে বর্তমানে একটা মাদ্রসায় পড়াশুনা করছে।
এরপর বোন তার স্বামীকে শশুর বাড়িতে যাবার কথা বলে কিন্তু মফিজুর তার বাড়িতে নিতে বিভিন্ন তালবাহানা করে।
আমারা জানতে পারি সেখানে তার আগের একটা বউ আছে।
অনেক কথা-কাটাকাটির পরে ০৬/০৯/২০২০/ তারিখে একদিন বোনকে সকালে তার শশুর বাড়িতে নিয়ে যায়।
কিন্তু নিয়ে যাওয়ার পর বিকালেই শুনতে পারি বোনকে কুপিয়ে মেরে ফেলে গেছে কারা।
খবর পেয়ে সাথে সাথে বোনকে দেখতে যায় গিয়ে সেখানে বোনের ক্ষতবিক্ষত লাশটা দেখতে পায়।
আর ভগ্নিপতি মফিজুর সেখান থেকে পালিয়ে চলে গেছে।
পরবর্তীতে আমরা থানায় মামলা করি যাহার মামলা নাম্বার ২৭৯/২০। এরপর থেকে আমরা বহুবার পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি কিন্তু কোন ভাবেই আসামিকে ধরা সম্ভব হয়নি।
নিহতের ভাই আরো বলেন,বোনের ছেলেটা অনেক কষ্টে আছে তার মায়ের কথা বলে সবসময়। কিন্তনছেলাটার দাদা বাড়ি থেকে কোন খোঁজ খবর নেয় না কেউ।
আমরা বোনের হত্যার সঠিক বিচার চাই।
এঘটনায় মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, ৫ বছর আগের কোন মামলা আমাদের থানায় পেন্ডিং নাই।
এসব মামলার অধিকাংশ তদন্ত রিপোর্ট হয়ে গেছে। তারপরও কোন ওয়ারেন্ট আছে কিনা আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখবো।