ময়মনসিংহের ভালুকায় স্কুলছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

বিশেষ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলাধীন মল্লিকবাড়ি নামক গ্রামে মোছা. ঝর্ণা আক্তার (১৭) নামে এক স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উক্ত স্কুল ছাত্রী মল্লিকবাড়ি গ্রামের মো. মুনসুর আলীর মেয়ে। গতকাল সকালে তার নিজ ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় এবং ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঝর্ণা এ বছর মল্লিকবাড়ি শহীদ নাজিম উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছিলেন।
স্থানীয় বিশেষ, সূত্রে জানা যায়, ঝর্ণা আক্তারের সঙ্গে নয়নপুর গ্রামের মো. আজিজুল হক প্রধানের ছেলে ও মালয়েশিয়া প্রবাসী তুষার প্রধানের (২২) মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সম্প্রতি ঝর্ণার পরিবার তার বিয়ে অন্যত্র ঠিক করার চেষ্টা করছিল, যা তার মনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। এর জেরে গত রোববার (৬ জুলাই) দুপুরে ঝর্ণা তুষারের বাড়িতে চলে যান। তুষার তাকে সেখানে থাকতে বললেও ওই দিন সন্ধ্যায় ঝর্ণার পরিবার তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে।
পরিবারের দাবি, সোমবার ভোরে ঝর্ণা তার ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে ছিলেন। তাকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে স্থানীয়দের মধ্যে এই মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে। অনেকে এটিকে আত্মহত্যা হিসেবে দেখলেও কেউ কেউ রহস্যজনক মৃত্যু হিসেবে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
ভালুকা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আমিনুল ইসলাম জানান, “ঝর্ণা আক্তারের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” তিনি আরও জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঝর্ণা ছিলেন মেধাবী ও শান্ত স্বভাবের একজন ছাত্রী। তার এমন মৃত্যু এলাকায় শোকের ছায়া ফেলেছে। কেউ কেউ মনে করছেন, পারিবারিক ও সামাজিক চাপ তার এই সিদ্ধান্তের পেছনে ভূমিকা রাখতে পারে।