বাগেরহাট ৪ টি সাংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে টানা ৪ দিনের কর্মসূচি।

IMG-20250908-WA0009

নিজস্ব প্রতিবাদক : বাগেরহাটে ৪টি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে জেলা জুড়ে টানা ৪ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বাগেরহাট জেলা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির গোলটেবিলের বৈঠকে নেতাকর্মীরা দ্বিতীয় দফায় বাগেরহাটে চারটি আসন পূর্ণবহালের দাবিতে সর্বাত্মক আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন ।
কর্মসূচি:
৮ সেপ্টেম্বর (সোমবার): সকাল-সন্ধ্যা হরতাল
৯ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার): বিক্ষোভ মিছিল
১০-১১ সেপ্টেম্বর (বুধ-বৃহস্পতিবার): হরতাল পালন করা হবে
উল্লেখ্য গত (২৪আগস্ট) খুলনা বাগেরহাট মহাসড়কের কেন্দ্রী বাসস্ট্যান্ড, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে, খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের নওয়াপাড়া, কাটাখালি, মোল্লাহাট সেতু, বাগেরহাট পিরোজপুর মহাসড়কের সাইনবোর্ড বাজার, খুলনা মোংলা মহাসড়কের ফয়লা, মোংলা বাসস্ট্যান্ডসহ জেলার অন্তত দশটি স্থানে সড়কের উপর গাড়ি ও বেঞ্চ রেখে দল মত নির্বিশেষে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন বাগেরহাট জেলা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা। এতে বাগেরহাট জেলার অন্য সকল স্থানের যোগাযোগ ও রাজধানী থেকে বাগেরহাট জেলার সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এতে মোংলা বন্দর অচল অর্থনৈতিক মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ে। এছাড়া ব্যবসায়ী ও দোকানদাররা সকল যানবাহনের চালকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই হরতাল অবরোধ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। এবারের টানা ৪ দিনের কর্মসূচিতে জেলার সর্বস্তরের জনগণের দাবির স্বপক্ষে অবস্থান নিয়ে হরতাল ও অবরোধ সফল করতে হবে। সরকারি বেসরকারি স্কুল কলেজ মাদ্রাসা সকল প্রতিষ্ঠান এছাড়া মোংলা বন্দর এলাকার বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান একযোগে বন্ধ রাখতে হবে। বাগেরহাট জেলার জনগণের একটাই দাবি নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবি মেনে নিয়ে বাগেরহাটের ৪টি আসন ফিরিয়ে দিতে হবে।
আমাদের মৌলিক অধিকার হরণ করে গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশনের বিশেষ কারিগরি কমিটি বাগেরহাট জেলার চারটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার প্রস্তাব দিলে জেলার সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওই প্রস্তাব বাতিল ও চারটি আসন বহল রাখার দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশন কর্ণপাত না করে। আসন কমানো অথবা বহাল রাখার বিষয়ে ২৫ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে শুনানী শেষে গাজীপুরে একটি আসন বাড়ানো বাগেরহাটে একটি আসন কমিয়ে ৩০০ আসনের গেজেট প্রকাশ করা করেন।

You may have missed