পাখিমারা ফেরি ঘাটে চরদখলের অভিযোগ

আশরাফুল ইসলাম আসিক, সাতক্ষীরা

আবারও সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন বিএনপির সার্চ কমিটির প্রধান আমজাদুল ইসলাম আমজাদের নেতৃত্বে পাখিমারা ফেরিঘাট সংলগ্ন স্থানে খোলপেটুয়া নদীর চর দখলের অভিযোগ উঠেছে।
সরজমিনে পাখিমারা ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঘাটের দক্ষিণ পাশে প্রায় ১০০ ফুট লম্বা ও ৫০ ফুট প্রস্থের নদীর চর দখল করে সেখানে মার্কেট নির্মাণের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে সেখানে বালু ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। একপাশে চলছে বেজ ঢালাইয়ের কাজ, অন্যপাশে চলছে ভিত তৈরি কাজ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দখলকৃত জায়গাটি পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হচ্ছে।
ভাগীদাররা হলেন ১১নং পদ্মপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ইউনিয়ন বিএনপি’র সার্চ কমিটির প্রধান আমজাদুল ইসলাম আমজাদ, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ও ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ হাফিজুর রহমান,৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেম্বার মোঃ আশরাফ হোসেন, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও তিন নাম্বার ওয়ার্ড বাসী মোঃ বুলবুল হোসেন,ও পাখিমারা শাপলা সংঘের নামে।
এদিকে স্থানীয় তহসিলদারকে প্রতিদিন অফিসে যেতে হয় পাখিমারা ফেরিঘাট দিয়ে। যাতায়াতের পথে নদীর চর দখলের বিষয়টি চোখে পড়লে ও রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কারণে তিনি যেন কিছুই দেখেন না।
এই কাজ দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ও ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ হাফিজুর রহমান। তিনি দাবি করে বলেন এখানে আমার ব্যক্তিগত ঘর নেই।
এই বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির নেতা বুলবুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এটি আমাদের রেকাডিও সম্পত্তি। এর খাজনা এখনো আমরা পরিষোধ করি। এই জন্য আমরা ঘর নির্মাণ করছি।
এই বিষয়ে পাখিমারা শাপলা সংঘের সাবেক সভাপতি ও ৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এখানে শাপলা সংঘের ঘর, ইউনিয়ন বিএনপির পার্টি অফিস ও চেয়ারম্যান সাহেবের অফিস নির্মাণ করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসীর সাথে যোগাযোগ করলে করলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
নদীর চরকে দখল মুক্ত করার জন্য ডিসি স্যার ও উপজেলা UNO ম্যাডাম এর দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করছে। এলাকাবাসি