পহেলা বৈশাখী আয়োজনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কেন্দুয়ার মৃৎশিল্পীরা

মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, ময়মনসিংহ বিভাগের বিশেষ রিপোর্টারঃ

নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় পহেলা বৈশাখী উপলক্ষে মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা বেড়েছে ।

১১ এপ্রিল শনিবার দুপুরে উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- ভীষণ ব্যস্ততায় সময় কাটাচ্ছেন ঐ সব পরিবারের মেয়ে, বউ ও বয়স্করা । ইতোমধ্যে পুকুড়িয়া হাওড়, মাটিয়ারকুড়ি (বিল) থেকে কাঁদামাটি সংগ্রহ করে তৈরী করা হচ্ছে মাটির বিভিন্ন ধরনের – পুতুল, ষাঁড়, গরু, ঘোড়া, থালা-বাসনসহ ইত্যাদি । চলছে ভার্নিস ও রংয়ের কার্য, অনেক ক্ষেত্রে এ সব জিনিসপত্রে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে নানা চিত্রকর্ম । কথা হয় মৃৎশিল্পী নমিতা রাণী (৬০) সাথে ।
তিনি বলেন- শত বছরের বেশি সময় ধরে আমরা এই কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি । তবে বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে আমাদের কাজের পরিমাণ বেড়ে যায় । ফলে পরিবারের ছোট বড় অন্যন্যা সদস্যরাও সহযোগিতা করে থাকে । তিনি আরো বলেন- বাপ দাদার ঐতিহ্য ধরে পড়ে আছি । অন্য কোন কাজও জানা নেই আমাদের । ভীষণ কষ্ট ও পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয় ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- গ্রামের ৫/৬টি বাড়িতে এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন মৃৎশিল্পীরা । নেই আধুনিক কোন প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি । সম্পূর্ণভাবে হাতের কারুকার্যে গড়ে তোলা হচ্ছে এই আসবাবপত্র সহ খেলনার জিনিস ।

এ বিষয়ে নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য হারিফ উদ্দিন হানিফ ও নওপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও দিনকালের উপজেলা প্রতিনিধিঃ মোঃ সালাহউদ্দিন সালাম এঁদের জীবন ও জীবিকা দেখতে এসে বলেন- এই কাজ আমাদের আবহমান বাংলার শিল্পী স্বত্তা পরিচয় বহন করে । আমাদের অতীত ও বর্তমান কতটা পরিশ্রম ও গর্বের তা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না । এ ক্ষেত্রে তাঁদের জন্যে সরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন । তিনি বলেন- আমার প্রাইমারী স্কুলের বাল্য বন্ধু দুলাল, সুবল আরও অনেক বন্ধুরা ছোট বেলা থেকে এই কাজ করে আসছে, তাদের জীবীকা নির্বাহ একমাত্র এই কর্ম। অনেকেই অভাবের কারণেই সিলেট / ঢাকার গার্মেন্টস চলে গেছে।

একজন ১০০বছের বয়সী মায়ের সাথে কথা বলে জানা যায় উনার অসুস্থ শরীর নিয়েেও একনো শক্ত হাতে কাজ করছেন।