পদ্মা সেতু দিয়ে পাড়ি দেবে খুলনা-ঢাকা রেল : কমবে দূরত্ব ও যাতায়াতের সময়

পদ্মা সেতু দিয়ে পাড়ি দেবে খুলনা-ঢাকা রেল : কমবে দূরত্ব ও যাতায়াতের সময়

মুহাম্মদ নূরুজ্জামান, খুলনা

দ্রুততম সময়ে যাতায়াতের লক্ষে বঙ্গবন্ধু সেতুর পরিবর্তে পদ্মা সেতু দিয়ে খুলনা-ঢাকা রুটের ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে চিত্রা ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন এ পথে চলবে। পরবর্তী সময়ে এ রুটে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। তবে এসব পরিকল্পনা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এটি চূড়ান্ত হলে এ রুটে দূরত্বের পাশাপাশি যাতায়াতের সময়ও কমে আসবে।

খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মাসুদ রানা জানান, খুলনা-ঢাকা রুটের চিত্রা এক্সপ্রেস পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচল করবে বলে শুনেছেন। তবে এখনও কোনো চিঠিপত্র পাননি।

জানা গেছে, খুলনা থেকে সোমবার ছাড়া সপ্তাহে ছয় দিন সকাল ৯টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় চিত্রা এক্সপ্রেস। আর ঢাকা থেকে সোমবার ছাড়া সন্ধ্যা ৭টায় খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে আসে ট্রেনটি।

রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, বর্তমানে ট্রেনে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে খুলনা থেকে ঢাকায় যেতে সময় লাগে প্রায় ৯ ঘণ্টা। পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হলে তখন সময় লাগতে পারে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা।

খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব বাবুল হাওলাদার বলেন, বাসের চেয়ে ট্রেনে যাতায়াত আরামদায়ক হওয়ায় অনেকেই ঢাকা-খুলনা রুটের ট্রেনে যাতায়াত করেন। তবে এখন বাসের চেয়ে ট্রেনে সময় অনেক বেশি লাগছে। পদ্মা সেতু দিয়ে খুলনা-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হলে যাতায়াতের সময় কমে আসবে। এতে এ অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে।

রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানান, ঢাকা-খুলনা রুটের চিত্রা এক্সপ্রেস এবং ঢাকা-যশোরের বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি পদ্মা সেতু দিয়ে চালানোর প্রাথমিক চিন্তাভাবনা চলছে। খুলনা থেকে চিত্রা ট্রেন যশোর, কুষ্টিয়ার পোড়াদহ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, ভাঙ্গা হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় যাবে। তবে এ নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কবে নাগাদ এ রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হবে সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর পরিবর্তে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-খুলনা রুটের দূরত্ব কম। সে কারণে যাতায়াতে সময় কম লাগবে।