নেত্রকোণায় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু পীচ এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন সাংবাদিক ম. কিবরিয়া চৌধুরী হেলিম

হৃদয় রায় সজীব
ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রতিনিধি

সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ “নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ইন্টারন্যাশনাল পীচ এ্যাওয়ার্ড-২০২২” ও সনদ পেয়েছেন নেত্রকোণার সিনিয়র সাংবাদিক ম.কিবরিয়া চৌধুরী হেলিম।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসক এর সম্মেলন কক্ষে তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মনির হোসেন (উপ-সচিব), জেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট সানাওয়ার হোসেন ভূইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আনিসুর রহমান, আব্দুল মান্নান তালুকদার, এডভোকেট নুরুজ্জামান, প্রেসক্লাবের সম্পাদক এম. মুখলেছুর রহমান খান, যুগ্ন সম্পাদক আফম রফিকুল ইসলাম আপেল, এ.কে.এম আব্দুল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ আলতাবুর রহমান কাশেম, সাংবাদিক দিলওয়ার খান, আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, সঞ্জয় সরকার, আলপনা বেগম, হানিফ উল্লাহ আকাশ প্রমুখ।

এর আগে ইন্ডিয়া বাংলাদেশ কালচারাল কাউন্সিল ও সাউথ এশিয়া বিজনেস পার্টনারশিপের যৌথ প্রয়াসে গত ২৫ নভেম্বর কলকাতার সত্যজিৎ রায় অডিটরিয়ামে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। সাংবাদিক কিবরিয়া চৌধুরী হেলিমের পক্ষে এই সম্মাননা গ্রহণ করেন বঙ্গমেলা উদযাপন পরিষদ ও ইন্ডিয়া বাংলাদেশ কালচারাল কাউন্সিল এর আহবায়ক মোঃ আর কে রিপন।

উল্লেখ, ম. কিবরিয়া চৌধুরী হেলিম ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারী নেত্রকোণার লক্ষিগঞ্জের সাকিউড়া মিয়াবাড়ির জমিদার পরিবারে জন্ম। পিতা সামছুল কিবরিয়া চৌধুরী (১৯২৮-২০০১) ছিলেন নেত্রকোণা জেলা কালেক্টরেট এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ভাষা সৈনিক। মাতা হালিমুন্নেছা চৌধুরী গৃহিণী। ১৯৮৩ সালে আঞ্জুমান মডেল গভ. হাই স্কুল থেকে এসএসসি ও ১৯৮৫ সালে এইচএসসি এবং ১৯৮৮ সালে নেত্রকোণা সরকারী কলেজ হতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি লাভ করেন।

তিনি দীর্ঘ ৩৭ বছর যাবত বিভিন্ন সময় দৈনিক ইনকিলাব, যুগান্তর, ইনসাফ, দি ডেইলী স্টার, দি ইন্ডিপেন্ডেন এবং রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ বেতারে নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। বর্তমানে তিনি বেসরকারী টিভি চ্যানেল ‘বাংলাভিশন’ ও রেডিও টুডে’র নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।

এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি নেত্রকোণা জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক (১৯৮৮-২০০৬), নেত্রকোণা জেলা প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সাধারন সম্পাদক (২০০৬ ২০০৯), সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থা, গ্রামীন সমাজ কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা নেত্রকোণা জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক, নেত্রকোণা অপরাধি সংশোধন ও পুণর্বাসন সমিতির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক, সামাজিক প্রতিষ্ঠান এআরএফবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।

তিনি আজীবন সদস্য-বাংলাদেশ রেড ত্রিুসেন্ট সোসাইটি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিষ্টার গ্রাজুয়েট এ্যাসোসিয়েশন ও কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ নেত্রকোণা।

সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি স্থানীয় সমাজের উপর লেখালেখিতেও নিমগ্ন রয়েছেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে ‘শাহ সুলতান কমরূদ্দিন রুমী(রহ:) ’এর জীবনী উলেখযোগ্য। তাঁর আলোচিত প্রবন্ধসমুহের মধ্যে ‘নেত্রকোণা আমার নেত্রকোণা’ র্শীষক রচনাটি ধারাবাহিক ভাবে স্থানীয় সাময়িকী বেগবতী মগড়া (১৯৯৫) তে প্রকাশিত হয়।