নরসিংদীর মনোহরদীতে অর্থ নৈতিক শুমারিতে অনিয়ম

তালাত মাহামুদ, জেলা প্রতিনিধি নরসিংদী:

নরসিংদীর মনোহরদীতে অর্থনৈতিক শুমারীতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সারা বাংলাদেশের অন্যান্য উপজেলার ন্যায় নরসিংদীর মনোহরদীতেও শুরু হয়েছে বাংলাদেশ পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন অর্থনৈতিক শুমারি -২০২৪ইং এর কার্যক্রম। আজ থেকে শুরু হলো এর প্রথম ধাপ এর কাজ, এতে মোট ৪ দিন প্রশিক্ষণ দেয়া হবে লিস্টিং কারী ও সুপার ভাইজার গনকে। প্রশিক্ষণ শেষে আগামী ১০ ডিসেম্বর হতে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে কাজ চলমান থাকবে। নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা কে মোট চারটি জোনে বিভক্ত করে এ প্রশিক্ষণটি চলমান রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,জোনাল অফিসার মনোহরদী উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা জনাব আফরিনা আক্তারের অধীনে মনোহরদী পৌরসভা ও চালাকচর ইউনিয়ন। পরিসংখ্যান কর্মকর্তা জনাব মো: সাইদুর রহমান এর অধীনে লেবুতলা,খিদিরপুর, চর মান্দালিয়া,চন্দনবাড়ী এ চারটি ইউনিয়ন। পরিসংখ্যান কর্মকর্তা জনাব গোলাপ মিয়ার অধীনে শুকুন্দি, গোতাশিয়া,একদুয়ারিয়া, দৌলতপুর ইউনিয়ন। আনসার বাহিনীর উপজেলা প্রশিক্ষক জনাব জুয়েল মিয়ার অধীনে কৃষ্ণপুর,বড়চাপা,কাচিকাটা ইউনিয়নে প্রশিক্ষণ চলমান থাকলে উপস্থিতির সংখ্যা একে বারেই নগণ্য।
শুকুন্দী,একদুয়ারিয়া,গোতাশিয়া,দৌলতপুর সেন্টারে ট্রেনিংয়ে অনুপস্থিত ২৪ জন।
কাঁচিকাটা,বড়চাপা,কৃষ্ণপুর ট্রেনিং সেন্টারে অনুপস্থিত ২ জন।

চন্দনবাড়ী,খিদিরপুর,চরমান্দালীয়ায় অনুপস্থিত না থাকলেও পৌরসভা, চালাকচর সেন্টারে ২ জন অনুপস্থিত রয়েছে। অথচ দায়িত্বরত কর্মকর্তাগণ সকলকে উপস্থিত দেখিয়ে সরকারী তহবিল থেকে বেতন উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করছে।

এ বিষয়গুলো জানতে মনোহরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি,যায় যায় দিন পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি তাজুল ইসলাম বাদলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রশিক্ষণ পরিদর্শন করতে গিয়ে প্রশিক্ষণ সেন্টার সঠিক উপস্থিতি না পেয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা সাংবাদিকদের সাথে তর্কে জড়ান এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন ধরনের হুমকী-ধমকী প্রদান করেন।

এমতাবস্থায় প্রশিক্ষণে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।