নতুন স্বাধীন বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম বৈষম্য থাকবে না বললেন —সাইদুর রহমান (বাচ্চু)
এস.এম.রুহুল তাড়াশী
সিরাজ গঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:-
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেছেন, ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশ পুনরায় স্বাধীন হয়েছে। নতুন অর্জিত সেই দেশে হিন্দু-মুসলিম কোনো বৈষম্য থাকবে না। এই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কয়েকজন হিন্দু ছাত্র-জনতাও জীবন দিয়েছে। তারাও আন্দোলনে যেতে কোনো বৈষম্য করেননি।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের মতবিনিময় সভায় জেলা কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রী শ্রী মহাপ্রভুর আখড়ায় আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, আমি পুলিশ সুপারকে অনুরোধ করেছি পূজায় যেন সর্বোচ্চ নিরাপত্তা থাকে, সুন্দরভাবে পালন হয় সেই ব্যবস্থা করতে। যেখানে প্রতিমা তৈরি হয় প্রয়োজনে সেখানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে। প্রত্যেকটি দুর্গা মণ্ডপে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে।
তিনি বলেন, দুর্গাপূজা যেন নির্বিঘ্নে হয় এবং কোনোপ্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে নজর রাখতে দলের ঊর্ধ্বতন থেকে শুরু করে আমাদের সর্বস্তরে নির্দেশনা আছে। যেভাবে আপনারা সিরাজগঞ্জে বৃহৎ পরিসরে জন্মাষ্টমী উদযাপন করেছেন ঠিক সেভাবেই যাক জাঁকজমকভাবে দুর্গাপূজা পালন করা হবে
সাইদুর রহমান (বাচ্চু) আরও বলেন, মসজিদে যদি পাহারা দিতে না হয় তাহলে মন্দিরে পাহারা দিতে হবে কেন। কিন্তু যেহেতু দেশে কিছু ঘটনা ঘটে গেছে তাই কেউ যেন কোনো অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য এটা করতে হচ্ছে।
শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে বিচারহীনতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপরে হামলার-হত্যার জন্য, মন্দিরে হামলার জন্য কেন ফাঁসি হবে না, কেন বিচার হবে না? এসব ঘটনার সঠিক বিচার করতে হবে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানিক সাহা ও শহর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিংকু কুন্ডুর সঞ্চালনায় এবং জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সন্তোষ কুমার কানুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন— জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ভিপি অমর কৃষ্ণ দাস, অ্যাডভোকেট ইন্দ্রজীৎ সাহা, পূজা উদযাপন পরিষদ নেতা অ্যাডভোকেট কল্যাণ কুমার সাহা, সত্য নারায়ণ সাহা, কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সু্বল ঘোষ ও হীরক গুণ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক সুবির কর্মকার, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নরেশ চন্দ্র ভৌমিক, সাংগঠনিক সম্পাদক দিলীপ গৌর, পরেশ মাহাতেসহ জেলার সব উপজেলা থেকে আসা হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ।