দাকোপে লোকজ’র উদ্যোগে ব্যতিক্রমী গ্রামীণ বীজমেলানারী কৃষকদের শত শত স্থানীয় বীজের প্রদর্শনী

দাকোপে লোকজ’র উদ্যোগে ব্যতিক্রমী গ্রামীণ বীজমেলা নারী কৃষকদের শত শত স্থানীয় বীজের প্রদর্শনী


———————
নিজস্ব প্রতিবেদক :হাওড়-বাঁওড়, নদী-নালা, খাল-বিলসহ প্রকৃতির অনুগ্রহে কৃষিতে অপার সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ। তবে উচ্চ ফলনশীল আর হাইব্রিড চাষাবাদে বিলুপ্ত হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির ধানসহ সবজি। এসব চাষাবাদ শুধু কৃষিব্যবস্থাই নয়, জীববৈচিত্র্যকেও হুমকির মুখে ফেলছে। প্রকৃতি-পরিবেশ এবং মৃত্তিকার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ দেশীয় প্রজাতির বীজ হারাতে বসেছে। দেশীয় বীজ সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে দাকোপে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন লোকজ এবং কৃষক সংগঠনের উদ্যোগে এক ব্যতিক্রমী বীজমেলা ২০২৪ অনুষ্ঠিত হলো। হারিয়ে যওয়া দেশীয় প্রজাতীর বীজ বিনিময়, প্রদর্শণী ও বিপননের জন্য আজ ২৪ মার্চ কামারখোলা ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে দাকোপ ও কামারখোলা ইউনিয়নের কৃষকরা তাদের সংরক্ষিত বীজ নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। ব্যতিক্রমধর্মী এই মেলার প্রত্যেকটি স্টলে কমপক্ষে ৩৫ থেকে ১৭৫ জাত ও প্রজাতির ফলজ, বনজ ও সবজি বীজ প্রদর্শীত হয়।
উন্নয়ন সহযোগি মিজরিও-জার্মানীর সহযোগিতায় পশ্চিম শ্রীনগর কৃষক সংগঠনের সভাপতি উত্তম ম-লের সভাপতিত্বে এবং লোকজের নির্বাহী পরিচালক দেবপ্রসাদ সরকারের সঞ্চালনায় মেলা শেষে এক আলোচনা সভায় অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কামারখোলা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান পঞ্চানন ম-ল, মৈত্রী কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ম-ল, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হরিপদ সানা, মো: অহিদুজ্জামান, সহকারি শিক্ষক সন্তোষ ম-ল, স্বদেশ রায়, ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান, পরিমল বিশ্বাস, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য স্বপ্না সরকার, নারী কৃষক রীতা রপ্তান, সুইটি সরকার, সমাজসেবক দেবাশীষ রায়, মিন্টু ফকির প্রমুখ:।
মেলায় বীজ বৈচিত্র্য, বীজের সংখ্যা ও প্রদর্শনীর কৌশলের উপর ভিত্তি করে একটি নির্বাচনী প্যানেলের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী কৃষকদের মধ্যে দক্ষিণ শ্রীনগর কৃষক সংগঠনের ¯েœহলতা ম-ল প্রথম, দাকোপ টেংরারচর কৃষক সংগঠনের প্রভাতী ম-লকে দ্বিতীয় এবং মধ্য দাকোপ স্বর্ণলতা কৃষক সংগঠনের রীতা রপ্তানকে তৃতীয় নির্বাচিত করে পুরষ্কার প্রদানসহ মেলায় অংশগ্রহণকারী সকল কৃৃষকদের পুরষ্কৃত করা হয়েছে। এছাড়া সফল চাষী তাপস মল্লিককে সম্মাননা প্রদান করা। এই বীজমেলার মাধ্যমে কৃষকরা বীজ বিনিময়ের মাধ্যমে স্থানীয় বীজের সম্প্রসারণ করেছেন এবং বীজ সংরক্ষণ বিষয়ে কৃষকদের অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পেয়েছে।