তাড়াশে অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খননে জলাবদ্ধতা বিপদে পড়েছে শ্রমিকেরা

এস,এম,রুহুল তাড়াশী,
সিরাজ গঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:-

তাড়াশে অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খননে জলাবদ্ধতা বিপদে পড়েছে শ্রমিকেরা পাচ্ছে না ন্যায্য পারিশ্রমিক কৃষকের কাছ থেকে।

সিরাজ গঞ্জ জেলা তাড়াশ উপজেলা চলনবিল অধ্যুষিত এলাকা গেল দুই দিন যাবৎ ভারী বৃষ্টিপাত কারনে অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খননের কারনে জলবদ্ধতার সৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছে শ্রমিকেরা। তিন ফসলি জমি অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করা কারনে টানা দুই দিন যাবৎ ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে নিম্ন অঞ্চলের কৃষি আবাদি জমিগুলো প্রায় জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নাই বললেই চলে।

উপজেলা ৫নং নওগাঁ ইউনিয়ন কালিদাশ নিলী গ্রামে শ্রমিক রফিকুল সরদার জানান, বিগত দিনে এই এলাকা অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খননের কারনে জলবদ্ধতার প্রধান কারন হয়ে দাড়িয়েছে। আজ আমরা ন্যায্য পারিশ্রমিক থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষকদের কাছ থেকে। কৃষকের কাছ থেকে বৃষ্টি হওয়ার পূর্বে ৪০০০ হাজর থেকে ৪৫০০শ টাকা বিঘা শুকনো ক্ষেতে ধান কর্তন করেছিলাম গেল দুই দিন যাবত ভারী বৃষ্টিপাতের হওয়ার কারনে শুকনো ক্ষেতে জলবদ্ধতা হয়েছে। জলবদ্ধতা হওয়ার কারনে আমাদের কিন্তু দ্বি-গুণ পরিশ্রম করতে হচ্ছে। কুষকের সাথে বৃষ্টি হওয়ার পুর্বে যে দর ছিল জলবদ্ধতা হওয়ার পরে সে দরে কাজ করতে হচ্ছে।
এতে আমরা ন্যায্য পারিশ্রমিক কৃষকদের কাছ থেকে পাচ্ছি না।

অপর দিকে শ্রমিক আব্দুর রহমান আকন্দ জানান, এই এলাকায় জলবদ্ধতার প্রধান কারন হল পানি নিস্কাসনের ব্যবস্হা নাই বললে চলে। তাই দুইদিন যাবৎ ভারী বৃষ্টি হওয়া অধিকাংশ আবাদি কৃষি জমিতে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। যা দ্বিগুণ পারিশ্রমিক করতে হচ্ছে সে হিসাবে ন্যায পারিশ্রমিক থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষকদের কাছ থেকে। অপরিকল্পিত পুকুর খনন করা কারনে।
এত সরকার এলো গেল শ্রমিকের উন্নয়ন হলো না। আমরা ধান কাটার শ্রমিক আমাদের ভাত আনতে পান্তা ফুরায়। আবার শরীরে বয়সের ভার। জীবন চলার নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি।