ঠাকুরগাঁওয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ কর্তনের অভিযোগ

মোঃ মজিবর রহমান শেখ,
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁও হরিপুর উপজেলায় একটি বিদ্যালয়ে ৪টি গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় ১ ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ জানালে কর্তন করা গাছগুলো জব্দ করে প্রশাসন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরের ৪টি গাছ কর্তন করা হয়েছে। ১ ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে গাছগুলো কর্তন করা হচ্ছে। কী কারণে গাছ কর্তন করা হচ্ছে- এ প্রশ্নের জবাবে গাছ কাটতে থাকা এক ব্যক্তি বলেন, স্থানীয় তানজির ভাইয়ের নির্দেশে গাছ কাটা হচ্ছে। এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য গাছ কর্তনে বাধা দিলে ঘটনাস্থলে আসেন তানজির নামের ঐ ব্যক্তি। তিনি নিজেকে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য হিসেবে পরিচয় দেন। এ ঘটনায় হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করেন স্থানীয় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্বাস আলী। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার বিদ্যালয় মাঠে থাকা ৪টি আমগাছ আইন বহির্ভূতভাবে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই স্থানীয় লোকজনের কাছে বিক্রি করে দেয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাতিজা বেগম। বিদ্যালয়ের গাছগুলো কর্তনের বিষয়টি জানার পরেই স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্বাস আলী গিয়ে গাছ কাটতে বাধা দেন। এদিকে, নিজেকে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য দাবি করে তানজির আহম্মেদ বলেন, এই বিদ্যালয়ের ৬৬ শতক জমি আমার দাদারা দিয়ে গেছেন। স্কুলের দখলে ছিল ৪০ শতক।
আমি আমার জমিতে থাকা গাছ কেটেছি। গাছ বিক্রির টাকা আমরা বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কাজে লাগাব।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্বাস আলী বলেন, স্থানীয়রা আমাকে বিষয়টি জানানোর পরেই আমি সেখানে গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়েছি। পরে তানজির এসে বলেন ,জমি নাকি তার, গাছও তার। তিনি মিথ্যা বলছেন। আমি বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। এ বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাতিজা বেগমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানার পরেই প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে কর্তন করা গাছগুলো জব্দ করা হয়েছে। যারা গাছগুলো কেটেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।