ঝিনাইদহে লঘুচাপের প্রভাবে সারাদিন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, নিন্ম আয়ের মানুষের দুর্ভোগ

মোঃ আবু সাইদ শওকত আলী,
খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ঝিনাইদহে সকাল থেকেই থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো ও দমকা হাওয়া।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হঠাৎ এমন আবহাওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা।
বৃষ্টির কারণে শহরের ব্যস্ত সড়কগুলো হয়ে পড়েছে ফাঁকা।
খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। যারা বের হয়েছেন, তারা ছাতা ও রেইনকোট ব্যবহার করে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। তবে যানবাহনের সংখ্যা ছিল তুলনামূলকভাবে কম। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর, রিকশাচালক ও ফুটপাতের হকার ব্যবসায়ী ও নিন্ম আয়ের মানুষেরা।
সকালে শহরের পায়রা চত্বর এলাকায় দেখা যায়, অনেক রিকশাচালক অলস বসে সময় কাটাচ্ছেন।
রিকশাচালক মিজানুর রহমান বলেন,”সকালে বের হয়েছি রিকশা নিয়ে, কিন্তু যাত্রী নেই।
বৃষ্টি আর ঠান্ডা বাতাসে কেউ রাস্তায় বের হচ্ছে না। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ঠিকমতো ভাড়া পাইনি।
বৃষ্টির দিনে ঘরে বসে থাকলে তো পেট চলবে না, তাই নেমেছি রাস্তায়।”
কাপড় বিক্রেতা মনোয়ার হোসেন বলেন, “এই রকম আবহাওয়ায় ক্রেতা আসে না বললেই চলে। বৃষ্টির কারণে দোকান খুলেও বসে থাকতে হচ্ছে। সকাল থেকে কিছুই বিক্রি করতে পারিনি। কষ্টের মধ্যে আছি।”
চায়ের দোকানদার মানিক মিয়া বলেন,”সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে ফল বিক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টি আর বৃষ্টি। কোন রকম দোকান খুলে বসে আছি বেচাকেনা নেই বৃষ্টির কারণে। পাকাআম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মহাজনের টাকা দেবো কিভাবে সেই চিন্তা করছি।
দোকানে কেনাবেচা খুবই কম। তবু দোকান খুলে বসে থাকি, যদি কিছু বিক্রি হয়।
এছাড়া শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ছাত্র, ছাত্রীর উপস্থিতি একেবারেই কম।
বিশেষ করে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বৃষ্টির কারণে তাদের ছেলে,মেয়েদের ঘর থেকে তেমন একটা বের করেননি।
এদিকে শহরের নিচু এলাকাগুলোতে কোথাও কোথাও পানি জমে গেছে।
কাদা ও ভেজা রাস্তায় চলাচলে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।