ঝিনাইদহে বিমানবন্দর চাই–বিমানবন্দর চাই,বিমানবন্দর চাই,দাবি তাদের এটাই

মোঃ আবু সাইদ শওকত আলী,
খুলনা বিভাগীয় প্রধান ২ঃ
ঝিনাইদহ জেলায় প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষের বসবাস। এই জেলাতে ৬ টি উপজেলা, ৬ টি পৌরসভা,৬৭ টি ইউনিয়ন রয়েছে। জেলার বেকার সমস্যা দূর করার জন্য অধিকাংশ মানুষ প্রবাসে রয়েছেন।
প্রবাসে থেকে তারা দেশের জন্য রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে কাজ করছে। জেলার শেষ প্রান্ত থেকে ঢাকার দুরত্ব প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার। ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার অধিকাংশ এলাকায় ভারত সীমান্তঘেঁষা। এখানে রয়েছে বিজিবির-৫৮ ব্যাটেলিয়ানের ক্যাস্প। ঝিনাইদহে রয়েছে দেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ,জেলার উত্তরের শেষ মাথায় রয়েছে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, পশ্চিম দিকে রয়েছে ভেটনারি কলেজ আর পূর্ব দিকে রয়েছে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।
মহেশপুরে রয়েছে এশিয়ার বৃহৎ দত্তনগর কৃষি ফার্ম, কোটচাঁদপুরে রয়েছে বিশাল মৎস্য হ্যাচারি। এছাড়া জেলা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য বিল,বাঁওড়। হরিশংকরপুরে রয়েছে বিখ্যাত গণিতবিদ কে-পি বসুর বাড়ি,আরাপুর রয়েছে মিয়ারদালান, নলডাঙ্গায় বিখ্যাত জমিদারের মন্দির,শৈলকুপায় রয়েছে বিশ্ববিখ্যাত শাহী মসজিদ,। কালিগঞ্জ শহরে রয়েছে জেলার সর্ববৃহৎ ভারী শিল্প মোবারকগঞ্জ সুগার মিল,রয়েছে এশিয়া বৃহৎ বটগাছ, বারোবাজার রয়েছে সুলতানি আমলের মসজিদ ও বহু ঐতিহাসিক স্থাপনা।
জেলায় রয়েছে বিখ্যাত গাজী কালু চম্পাবতীর মাজার। এছাড়া কে-সি কলেজ থেকে শুরু করে নানা রকম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
হরিনাকুন্ডুর হরিশপুর রয়েছে আধ্যাত্মিক বাউল সম্রাট, সাধক লালন ফকিরের জন্মস্থান।
এই জেলাতেই রয়েছে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মহানায়ক বাঘা যতীনের স্মৃতি বিজড়িতে বাড়ি।
রয়েছে তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী ইলমিত্রের বসতভিটা।
এরকম অসংখ্য ইতিহাস ঐতিহ্যের সাক্ষী বহন করছে ঝিনাইদহ জেলা।
ঝিনাইদহ শহরের উপর দিয়ে বেশ কয়েকটি জেলার সংযোগ সড়ক রয়েছে।
কাজেই এই জেলা শহরের মিডিল পয়েন্ট একটি আধুনিক বিমানবন্দর এখন সময়ের দাবি।
বিমানবন্দর তৈরি হলে ঝিনাইদহে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে। সারা বিশ্বের কাছে ঝিনাইদহ জেলা পরিচিত হয়ে উঠবে।