ঝিনাইগাতীতে ক্যান্সার আক্রান্ত স্বামী ভারতের কারাগারে, দুই সন্তান নিয়ে অনাহারে দিনকাটে চন্দ্রভানুর

ঝিনাইগাতীতে ক্যান্সার আক্রান্ত স্বামী ভারতের কারাগারে, দুই সন্তান নিয়ে অনাহারে দিনকাটে চন্দ্রভানুর

মোঃ বিল্লাল হোসেন, শেরপুর থেকেঃ শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ক্যান্সার আক্রান্ত স্বামী দেলোয়ার হোসেন ভারতের কারাগারে। দুই সন্তান নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিনকাটে চন্দ্র ভানুর। চন্দ্র ভানু ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের গোমড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী। জানা গেছে, দেলোয়ার হোসেন (২৯) দুই কন্যা সন্তানের জনক। সহায় সন্তান বলতে কিছুই নেই, দেলোয়ার হোসেনের। সরকারি ৫ শতাংশ জমির উপর ঘরবাড়ি নির্মান করে স্বপরিবারে বসবাস করে আসছিল। শ্রমবিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে করতো দেলোয়ার হোসেন। কিন্তু বিধিবাম ২০২২ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় দেলোয়ার হোসেন ।এসময় পারিবারিকভাবে ঋণধাড় করে চিকিৎসা করানো হয় তার । কিন্তু সে পুরোপুরি সুস্থ্য হয়নি। চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু অর্থ সংকটের কারনে ভারতে যেতে পারছিল না দেলোয়ার হোসেন। ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে দেলোয়ার হোসেনের পরিবারটি পরে চরম অর্থ সংকটে। টাকা পয়সার অভাবে চিকিৎসাতো দুরের কথা দুই কন্যা সন্তানসহ ৪ সদস্যের পরিবারের দিন কাটতো অনাহারে অর্ধাহারে। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে ক্যান্সার আক্রান্ত দেলোয়ার হোসেন চিকিৎসা লাভের আশায় অবৈধভাবে সীমান্ত পারি দিয়ে গত বছর ভারতে চলে যায়। পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে,ভারতে গিয়ে দেলোয়ার হোসেন একটি ফ্যাক্ট্ররিতে কাজ নেয়। দেলোয়ার হোসেন আশায় বুক বাঁধে ফ্যাক্ট্ররিতে কাজ করে তিনি তার চিকিৎসা করাবেন। কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি দেলোয়ার হোসেনের। গত প্রায় ৪ মাস পুর্বে মেঘালয় রাজ্যের ভারতী পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। গত ৪ মাস ধরে ক্যান্সার আক্রান্ত দেলোয়ার হোসেন ভারতের তোরা কারাগারে রয়েছেন। অপরদিকে ২০২২ সালে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী চন্দ্রভানু অন্যের বাড়িতে মজুরি করে কোনরকমে দুই সন্তানসহ ৪ সদস্যের পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। চন্দ্রভানু জানান, একদিন কাজে না গেলে সেদিন তার ঘরে চুলা জ্বলেনি। সেদিন অনাহারে অর্ধাহারে কাটতো তার পরিবারের সদস্যের দিন। চন্দ্রভানু জানায়, গত ৫ বছরে সরকারিভাবে তার ভাগ্যে জুটেনি কোন সাহায্য সহযোগিতা। বর্তমানে চন্দ্রভানু দুই কন্যা শিশুসন্তান নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছেন। এবিষয়ে নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো,রুকুনুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন বিষয়টি তার জানা নেই। এব্যাপারে তার কাছে কেউ আসেনি। তবে বিষয়টি তিনি গুরুত্বসহকারে দেখবেন বলে জানান।