জনমনে প্রশ্ন:- হুজুরদের জিম্মা থেকে বাস চালক পলায়ন করল কিভাবে?

আ স ম আবু তালেব, বিশেষ প্রতিনিধি:- বরিশাল এক্সপ্রেস এখন আতঙ্কের নাম। ঢাকা – মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে গত সপ্তাহে ভয়াবহ এক দৃশ্যের জন্ম দিয়েছে বরিশাল এক্সপ্রেস একটি যাত্রীবাহী বাস। এ ঘটনায় আজও দক্ষিণাঞ্চল ও লৌহজংবাসী আতঙ্কিত। বাসের ছাদ ওড়ে গিয়ে আকাশে মিলিয়ে গেলেও চালক নাকি টেরই পায়নি কিছু! প্রাণ হাতে নিয়ে যারা বেঁচে ফিরেছে, তারা জানায়, বাসের চালক ছাদহীন বাস ছুটিয়ে গেছে আরও প্রায় ১০ কিলোমিটার! ঘটনার পর স্থানীয় জনতা চালককে পাকড়াও করে। সাধারণত এমন ক্ষেত্রে পুলিশে সোপর্দ করার কথা থাকলেও উৎসুক জনতার হাত থেকে বাঁচাতে (!) চালককে সোপর্দ করা হয় কুমারভোগ ইউনিয়নের স্থানীয় দুটি মাদ্রাসার কয়েকজন হুজুরের জিম্মায়। এরপর আর পাওয়া যায়নি চালককে। পদ্মা সেতু উত্তর থানার ওসি মো. জাকির হোসেন জানান, চালককে আটকের খবর শুনে তারা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু সেই সময় হুজুররা জানায়, “বাস চালক তো পালিয়ে গেছে!”
জনমনে আজও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে; এমন ভয়ানক অপরাধে অভিযুক্ত চালক যিনি অর্ধ শতাধিক যাত্রীর জীবন হুমকির মুখে ফেলেছেন, তিনি কীভাবে “হুজুরদের জিম্মা” থেকে পালাতে পারেন? সেটা কি আসলেই পালানো, না কি সযত্নে পালাতে সহায়তা করা? হুজুরদের হাতে তুলে দেওয়া মানেই কি কোনো দায়দায়িত্ব নেই?
নাকি এই জিম্মাদারির আড়ালে লুকিয়ে আছে অন্য কিছু?
নিয়মভঙ্গকারী চালককে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে না দিয়ে গায়েব করে দেওয়ার দায় কার? সচেতন মহল মনে করেন এমন ঘটনার ন্যায়বিচার না হলে আজকের ছাদ উড়ে যাওয়াই হয়তো আগামী দিনের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
এই ঘটনায় যে বা যারা দায়ী, তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কাছে তাদের দাবি জানিয়েছেন। নয়তো “পালিয়ে গেছে” এই বাক্যই হয়ে উঠবে অপরাধীদের নতুন আশ্রয়।