চুরামনকাটির রফিকুল মালয়েশিয়া মৃত্যু,পরিবারে ঈদের আনন্দের পরিবর্তে শোকের ছায়া

মোঃ আবু সাইদ শওকত আলী,
খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ
ঈদে মেয়ে জামাইদের সাথে নিয়ে কুরবানী করার জন্য বিদেশ থেকে টাকা পাঠান স্ত্রীর নিকট। কোন কিছুর যেনো ঘাটতি না থাকে বারবার সেই কথা বলেছিলো রফিকুল ইসলাম।
ঈদের দিন সারাক্ষণ পরিবারের সবাইর সাথে কথা বলা ভিডিও কলে আড্ডা দেওয়া দুর প্রবাসে বসেও কোনো কিছুর ঘাটতি বুঝতে দেয়নি।
ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস ঈদের পরদিন রোববার বিকালে মালয়েশিয়ায় স্টক জনিত কারণে মৃত্যু বরণ করেন রফিকুল ইসলাম। তিনি যশোর সদরের চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের পোলতাডাঙ্গা গ্রামের শমসের আলীর ছেলে।
অভাবের সংসারে সুখ ফেরাতে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান রফিকুল ইসলাম।
মালয়েশিয়া প্রবাসী তার ভাগনে নাজমুল ইসলাম জানান, ঈদের পর দিন মামা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই তিনি মারা যান। চিকিৎসারা জানিয়েছেন স্টক জনিত কারণে মৃত্যু বরণ করেছেন তিনি।
রফিকুল ইসলামের বড় ভাই শরিফুল ইসলাম বলেন, অভাবের সংসারে সুখ ফেরাতে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমায় আমার ছোট ভাই। সে দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় রয়েছে।
সাম্প্রতি সে দেশে এসে ছোট মেয়ে বিয়ে দিয়ে আবারও গত ডিসেম্বর মাসে মালয়েশিয়ায় চলে যান।
রফিকুল ইসলামের দুই মেয়ে রয়েছে।
তার মৃত্যুর খবর দেশে পৌঁছানোর পর গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেনা।
নিহত রফিকুলের স্ত্রীর বারবার বিলাপ করছে যার টাকায় ঈদে কোরবানি সহ জামাই মেয়েদের নিয়ে এতো আয়োজন আজ সেই নেই।
কি করে আমরা ভুলবো তার কথা।
তার বড় ভাই শরিফুল ইসলাম আরো জানান, ইতিমধ্যে আমার ভাইয়ের লাশ দেশে আনার জন্য প্রস্তুতি চলছে।
তবে কবে নাগাদ আসতে পারে এখনি বলা যাচ্ছে না।