চাকরি ফিরে পেতে মানবন্ধন ,অবস্থান কর্মসূচি পালন

চাকরি ফিরে পেতে মানবন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি পালন

চাকরি ফিরে পেতে মানবন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি পালন

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) পরিচ্ছন্নতাকর্মী প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকদের চাকরিচ্যুতি কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকদের পুনর্বহাল করার আবেদনটি আগামী তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমদ এবং বিচারপতি এম বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল এবং নির্দেশনা জারি করেন।

প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকদের পক্ষে হাইকোর্টে রিটকারী অ্যাডভোকেট খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকদের পুনর্বহাল করার জন্য রিট আবেদন করা হয়েছিল।শুনানি শেষে আবেদনটি আগামী তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি চাকরিচ্যুতি কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।  

প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকদের পক্ষে নোটিশ পাঠানো আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ বাংলানিউজকে বলেন, সকল স্থানে ব্যর্থ হয়ে প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকরা মহামান্য হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। রিটের শুনানি শেষে মহামান্য হাইকোর্ট ভিক্ষুদের পুনর্বহালের জন্য রুল জারি করেন এবং নির্দেশনা প্রদান করেন।

প্রতিবন্ধী পরিচ্ছন্নকর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন,  আমাদের বিনা কারণে চাকুরিচ্যুত করেছেন সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। চাকুরি ফিরে পেতে আবেদন, মানববন্ধন, স্মারকলিপি দিয়ে কোনো সাড়া পাইনি। এমনকি মেয়র থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সবাই আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু কোনো কাজই কেউ করেননি। তাই আমরা ভিক্ষা করে টাকা জমিয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি। কেউ আমাদের কথা শুনেনি, কেবল আদালত শুনেছে। এখন দেখি আমাদের প্রতি ন্যায় বিচারের দ্বার উন্মুক্ত হয় কি-না। কামাল হোসেন শারিরীকভাবে প্রতিবন্ধী হওয়ায় আদালত ভবনের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে পারেন না। তাই আরেক প্রতিবন্ধী পরিচ্ছন্নকর্মী হারুন অর রশিদকে রিটের বাদী করা হয়েছে।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় অর্ধশতাধিক প্রতিবন্ধী ভিক্ষুককে দৈনিক ২০০ টাকা বেতনে চাকরি প্রদান করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। দশ বছর নিরবচ্ছিন্ন চাকরি করার পর ২০২১ সালে কোন নোটিশ ছাড়াই প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকদের কাজ থেকে বিরত রাখে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ। এরপর থেকে প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকদের আবারও মানবেতর জীবন যাপন শুরু হয়। চাকরি ফিরে পেতে মানবন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এছাড়াও কয়েক দফায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও মেয়রের সাথে সাক্ষাৎ করে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানায় ভিক্ষুকরা। গত ৩ মে সর্বশেষ চসিক মেয়র এবং সচিবের কাছে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত ভিক্ষুকদের পুনর্বহাল করে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য আবেদন জানায় প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকেরা।