গোয়াইনঘাটে ফেক আইডির অপপ্রচারে অতিষ্ঠ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন
রুবেল আহমেদ, সিলেট:
সিলেটের গোয়াইনঘাটে ফেক আইডি দিয়ে ফেইসবুকে পোস্ট করে সামাজিক ভাবে নেতৃবৃন্দের মানহানি ও দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার পায়তারা চলছে। দিন দিন ফেক আইডির যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। উপজেলা জুড়ে ফেক আইডি নিয়ে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা সামাজিক সংগঠন,বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে সক্রিয় হয়ে উঠছে একটি মহল। ভুয়া ফেইসবুক আইডি নিয়ে মানহানি ও আপত্তিকর পোস্টের মাধ্যমে সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে তাদের এই অপচেষ্টা। যার ফলে বলি হচ্ছেন উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। সেই সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে সাইবার অপরাধীদের সংখ্যা। স্থানীয় রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে এই সাইবার অপরাধীরা। জানা যায়,গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের পর থেকেই ফেক আইডি দিয়ে একটি কুচক্রী মহল বিশেষ করে বিভিন্ন স্হানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক আইডি খোলে তাদের নামে মিথ্যা,বানোয়াট অপপ্রচার চালাচ্ছে। যা রীতিমতো বিষয় গুলো ভাবমূর্তিক্ষুন্ন সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দেরকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করা হচ্ছে। যারা ফেক আইডির বলি হচ্ছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন,গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদল নেতা মনিরুল করিম মনির, আজাদুর রহমান আজাদ, মাসুক আহমদ, সাহেদ মেম্বার, জাহাঙ্গীর আলম সহ আরো অনেকে। উপজেলার বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলাপ কালে তারা বলেন, বর্তমানে গোয়াইনঘাট উপজেলায় নতুন রূপে আবির্ভাব গঠেছে একটি সাইবার অপরাধী চক্রের।
যারা সমাজের ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অপপ্রচার করছে তা মোটেও কাম্য নয় এবং তাহা সমাজের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। বরং যারা সমাজের জন্য ভালো কিছু করে তারা ভালো কিছু করার আগ্রহ হারাবে। বিশিষ্টজনেরা বলেন,এসব একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের ফায়দা ও স্বার্থ হাসিলের জন্য কেউ লোভে, কেউ ক্ষোভে আবার কেউবা রাজনৈতিকভাবে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে পিছন থেকে ইন্দন দিয়ে এসব করাচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা যুবদল নেতা মনিরুল করিম মনির বলেন,ত্যাগী নেতাকর্মীদের সামাজিকভাবে মানহানি করতে একটি অশুভ চক্র এসব কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যারা দলের দুঃসময়ে ছিল না,আমরা দলের দুঃসময়ে মাঠে ও কর্মীদের পাশে ছিলাম। এখন এই অশুভ চক্রটি দলের সুসময়ে এসে দলের সুবিধা ভোগ করতে এরকম নেক্কারজনক কাজ করছে। আর এদের পিছনে ইন্ধন দিচ্ছে একটি অশুভ শক্তি। যার ফলে এরা বেপরোয়া ভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এহেন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন,দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে,দলের ঐক্য ঐতিহ্য নষ্ট করতে আরো একটি দল এদের সার্বিক সহযোগিতা করছে। এরা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া আইডি খুলে তারা যা অপপ্রচার চালাচ্ছে এটা ভিত্তিহীন গুজব ছড়ানো ছাড়া আর কিছু নয়।এসব গুজবে কান না দিতে তিনি উপজেলাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
গত ১৬ বছরে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অসংখ্যবার হামলা,মামলা ও নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কিন্তু কখনও আইন হাতে তুলে নেননি। বিএনপির নেতাকর্মীরা অপরিসীম ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। বিএনপি গণতান্ত্রিক দল, তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। অপরদিকে বিএনপি নেতা মাসুক আহমদ, আজাদুর রহমান আজাদ,সাহেদ মেম্বার, জাহাঙ্গীর আলম এ বিষয়ে বলেন,একটি কুচক্রী মহল আমাদেরকে সহ্য করতে না পেরে ইদানীং আমাদের পিছনে লেগেছে। কে বা কারা ফেক আইডির মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের নামে ভুয়া, মিথ্যা,বানোয়াট অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা বর্তমান সরকার তথা সরকারের উপদেষ্টাগণের ও দেশের আইনের সু শাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি এই কুচক্রী মহল কে বের করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলুক শাস্তির ব্যাবস্থা করা হোক। তারা আরো বলেন, এরা শুধু আমাদেরকে দিয়ে নয়, প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সামাজিক সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এতে এটাই উদীয়মান হয় তাদের উদ্দেশ্য মহৎ নয়। তারা শান্তি প্রিয় গোয়াইনঘাটের মানুষের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে গোয়াইনঘাটের ঐতিহ্য নষ্ট করার পায়তারা চালাচ্ছে এবং দলীয় ভাবে ভেদাবেদ সৃষ্টি করে দলীয় ভাবমূর্তি নস্ট করার একটি কৌশল অবলম্বন করছে।