গুরুদাসপুরে ৫ লাখ টাকা ঘুষ চাওয়া সেই এসআই বরখাস্ত

নাটোর জেলা প্রতিনিধিঃ
মামলা থেকে নাম প্রত্যাহারের কথা বলে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করার ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়ায় গুরুদাসপুর থানা পুলিশের এসআই (উপপরিদর্শক) আবু জাফর মৃধাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বুধবার (৪ জুন) সকালে অভিযুক্ত আবু জাফর মৃধাকে সাময়িক বরখাস্ত করে নাটোর পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন।
এর আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘এসআইয়ের বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ’ শিরোনামে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন বলেন, ‘অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা আমরা পেয়েছি।
অডিওটা (ঘুষ দাবির কল রেকর্ড) তার বলে প্রমাণিত হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে আবু জাফর মৃধাকে সাময়িক বরখাস্ত করে নাটোর পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ১৫ মে গুরুদাসপুর পৌরসভার চাঁচকৈড় বাজার এলাকায় ইটভাটা ব্যবসায়ী ফরিদ মোল্লার ছেলে রুবেল মোল্লাকে দুর্বৃত্তরা মারপিট করেন।
মারধরের সময় আমেরিকাপ্রবাসী রাসেল হোসাইনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের একজন কর্মচারী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
এরই জেরে পরদিন ১৬ তারিখে মামলায় প্রবাসী রাসেলকে ১ নং আসামি করে মামলা করেন ফরিদ মোল্লা। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান গুরুদাসপুর থানার এসআই আবু জাফর মৃধা। মামলার দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই এসআই আবু জাফর মৃধা প্রবাসী রাসেল হোসাইনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে তার ম্যানেজার গোলাম রাব্বীর কাছে ঘুষ দাবি করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে গত ২ জুন মোবাইল ফোনে ম্যানেজার রাব্বির কাছে প্রবাসী রাসেল হোসাইনের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য ৫ লাখ টাকা দাবি করেন এবং ঈদের পূর্বেই এক লাখ টাকা দিতে হবে বলেও জানান। মোবাইলের সেই কথোপকথন রাব্বি রেকর্ড করে রাখেন। গতকাল এর প্রতিকার চেয়ে নাটোরের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন গোলাম রাব্বী।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই আবু জাফর মৃধা বলেন, টাকা চাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। এসব অভিযোগ সত্য নয়।