খুলনা আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জাম চুরির সময় হাতেনাতে আটক ১

খুলনা আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জাম চুরির সময় হাতেনাতে আটক ১

খুলনা আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জাম চুরির সময় হাতেনাতে আটক ১

# দুই নার্সের বিরুদ্ধে সহযোগিতা করার অভিযোগ

খুলনা ব্যুরো

খুলনা শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত চিকিৎসা সরঞ্জাম চুরির সময় সুমন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসা তাকে  হাতেনাতে আটক করা হয়। 

আটককৃত সুমন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নগরীর হেরাজ মার্কেটে তার ওষুধের দোকান আছে। দীর্ঘদিন যাবত আবু নাসের হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের নার্স ইনচার্জ তহমিনা খাতুন ও কার্ডিওলজি বিভাগের নার্স ইনচার্জ সোনিয়া খাতুন তার কাছে রোগীদের জন্য বরাদ্ধকৃত চিকিৎসা সরাঞ্জামাদি বিক্রি করতো। তারা ফোন দিয়ে জানালে সে নিজে এসে স্কুলের ব্যাগে করে ওষুধ ও চিকিৎসা সরাঞ্জামাদি নিয়ে যেত।

হাসপাতালের আউট সোর্সিং কর্মচারী মো. নূরজাহান জানান, তিনি প্রায় সময় দেখেন, লোকটি নার্সদের কাছ থেকে দুই-তিনটি স্কুল ব্যাগ ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা সরাঞ্জামাদি নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেখতে পান সেই লোকটি ব্যাগে করে কিছু একটা নিয়ে যাচ্ছে। তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে পেছন থেকে নার্স তহমিনা আমার মুখ চেপে ধরে বলে- কোনো চিৎকার করবি না। এই বলে আমার সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করে। এক পর্যায়ে আমি দৌড়ে নিচে অপেক্ষা থাকা অ্যাম্বুলেন্স চালক টিপুকে ঘটনা সম্পর্কে অবগত করি। তিনি দৌড়ে গিয়ে চোরকে চিকিৎসা সরঞ্জামাদিসহ হাতেনাতে আটক করে। 

অভিযুক্ত নার্স ইনচার্জ তহমিনা খাতুন ও সোনিয়া খাতুন বলেন, আমরা এই ঘটনার সম্পর্কে কিছু জানি না। আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। একটি মহল দীর্ঘদিন যাবত আমাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে আসছে। 

এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, রোগীদের চিকিৎসা সরাঞ্জামাদি পাচার করার সময় হাতেনাতে একজনকে আটক করা হয়েছে। আটকৃত ব্যক্তি জানিয়েছে, যে দুইজন নার্স ইনচার্জ এ ঘটনায় জড়িত। আমরা ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। এছাড়া আটক চোরকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

#